স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার উত্তর বাগমারা ইউনিয়নের দত্তপুর গ্রামে কবরস্থানের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদ করায় ৪ জনকে গুরুতর আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে গতকাল শনিবার এই মামলাটি দায়ের করেন ওই গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ মাহবুব আলম। এদিকে মামলা দায়েরের পর তাহা প্রত্যাহারের করে নেওয়ার জন্য আসামিরা তাকে এবং তার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। অন্যথায় প্রাণনাশ সহ নানাভাবে হয়রানিও এলাকা ছাড়ার ভয়-ভীতি দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪/৫ দিন পূর্বে মাহবুব আলম বাড়ির পাশে চলাচলের পথ নির্মাণের স্বার্থে স্থানীয় মসজিদ ও কবরস্থানের কমিটিসহ এলাকার লোকজনের সিদ্ধান্তক্রমে দত্তপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানের পূর্বপাশে পাকা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে দেন।আসামিরা পূর্বশত্রুতার জের ধরে শুক্রবার দুপুরে সংঘবদ্ধ হয়ে কবরস্থানের ওই সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে।এ সময় মাহবুব আলমের ছেলে মোঃ রিফাত(২১) বাধা দিলে তাকে ইট ও বাঁশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যপরি পিটিয়ে ও মাথায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। মাহবুব আলম এর ছোট ভাই মাকসুদ আলম(৩২) খাওয়াত হোসেন রাসেল (২৭)আহত রিফাতকে উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও মারধর করে গুরুতর জখম করা হয়।স্থানীয়দের সহায়তায় মাহবুব আলম ও তার পরিবারের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার পথে আসামিরা তাদের গতিরোধ করে হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে মাহবুব আলমকে গুরুতর জখম করে এবং মাসুদ আলম সাখাওয়াত হোসেন রাসেল এর মাথায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাদের রক্ষা করে। পরে আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হামলায় মাসুদ আলমের মাথার উপর অংশে ৪টি সেলাই লাগে এবং সাখাওয়াত হোসেন রাসেলের মাথার উপরের অংশে ৩টি সেলাই লাগে।এ ঘটনায় শনিবার মাহবুব আলম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে লালমাই থানায় মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নাম্বার (২)২৭।মামলার আসামিরা হচ্ছে দত্তপুর পূর্ব পাড়া গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে আব্দুর রফ ওরফে আব্দুল্লাহ, মৃত সিরাজ মিয়া সরদারের ছেলে আব্দুল মুমিন,মমতাজ সরদার, মমতাজ মিয়ার ছেলে মাসুদ, আব্দুর রব ছেলে রিফাত,আব্দুল মান্নানের ছেলে মাহবুব,আলী হোসেনের ছেলে মুনতাসির, মোসলেম উদ্দিনের ছেলে কবির ও রাজু,মমতাজ সরদারের ছেলে মনা ও অজ্ঞাত নামা ৮/১০ জন।মামলার বাদী মাহবুব আলম সাংবাদিকদের জানান,মামলার করার কারনে আসামীরা তার ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রকাশ্য মেরে পেলার হুমকি দিচ্ছে।তিনি অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।