ডা. মুজিবুর রহমান ।।বৃষ্টির চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে আইসিসি টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। ২৯ জুন বার্বাডোজে শিরোপা নির্ধারণি ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠা দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৪ সালের আবার ফাইনালে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার দল। সেবারের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরেছিল ভারত। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭১ রান সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে ইংল্যান্ড ১৬.৪ ওভারে ১০৩ রানে অলআউট হয়। ম্যাচ সেরা বাঁ হাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেল। ২৩ রানে তিনি ৩ উইকেট শিকার করেন। চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদবও সমান ৩ উইকেট শিকার করার কৃতিত্ব দেখান। বৃষ্টির জন্য গায়ানার দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচটি সময়মত শুরু হয়নি। তবে তাতে ওভার কাটা হয়নি। মেঘের ফাঁকে রোদ হেসেছে। আউটফিল্ড ভয়াবহ স্লো ছিল। উইকেটে বল পড়ে নেমে গেছে। অসম বাউন্সে র এই উইকেটে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার টস জিতে ফিল্ডিং নেন। ভারত এমন কঠিন কন্ডিশনে দুর্দান্ত খেলেছে। আক্রমণ শুরু করেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ৩৯ বলে ৫৭ রানের ইনিংস সাজান ৬টি চার ও ২ ছক্কায়। এছাড়া সূর্যকুমার যাদব (৪৭) ও হার্দিক পান্ডিয়া (২৩) লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেন। ইংল্যান্ডের মিডিয়াম পেসার ক্রিস জর্ডান ৩৭ রানে ৩ উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ২০২২টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা। হ্যারি ব্রুক ২৫,জস বাটলার ২৩ ও জোফরা আর্চার ২১ রান করেন। ভারতের স্পিন খেলতে পারেনি ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ড ২০১০,২০১৬ ও ২০২২ সালে ফাইনালে খেলেছে। এবার যেতে ব্যর্থ হলো দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। ভারত ২০০৭ সালের চ্যাম্পিয়ন। ২০২৪ সালের ফাইনালে উঠলো আবার। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে কঠিন লড়াইয়ের অপেক্ষা এখন।
টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ টানা আটটি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও এখন দক্ষিণ আফ্রিকার। সেমিফাইনালের আগে প্রায় সব ম্যাচেই অনেকটা হারতে হারতে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চাপের মুখে ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এটাই জানে সবাই। কিন্তু দলীয় অধিনায়ক এইডেন মার্করাম দলকে শুধু ফাইনালে তোলেননি, সে পথে স্নায়ুযুদ্ধ জিতেও দেখিয়েছেন। সেমিফাইনালে আগের সাতবারে যা হয়নি, এইডেন মার্করাম সেটা করেছেন বিশ্বকাপে প্রথমবার নেতৃত্ব দিয়েই। এখন পর্যন্ত কোনো পর্যায়ের বিশ্বকাপেই অধিনায়ক হিসেবে ম্যাচ হারেননি মার্করাম। উল্লেখ্য মার্করামের নেতৃত্বে ২০১৪ সালে অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ফাইনালে উঠে মার্করাম বলেছেন,শুধু অধিনায়কই দলকে ফাইনালে তোলেননি। এর পেছনে রয়েছে পুরো দলের ভয়ডরহীন অবদান।