আবু সুফিয়ান রাসেল ।। কুমিল্লায় চাহিদার তুলনায় ৮ হাজার কোরবানির পশু বেশি আছে। ১৭ উপজেলায় বেড়েছে গরু, মহিষ ও ছাগলের সংখ্যা। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, কুমিল্লার যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো। তাই
উদ্বৃত্ত বা ঘাটতি কোনটির জন্য গ্রাহকদের চিন্তা করতে হয় না।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে কুমিল্লায় কোরবানীর পশুর চাহিদা ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৬৪টি । ১৭ উপজেলার খামারিদের নিকট বিক্রি করার মতো পশু আছে ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯৫২টি। বিক্রির মতো উদ্বৃত্ত পশুর সংখ্যা ৮ হাজার ৮শ ৮৮। যার মধ্যে আদর্শ সদরে কোরবানীর বাজারে তোলা হবে ১৪ হাজার ৬শ’ ৬৩, চৌদ্দগ্রামে ১৩ হাজার ৭শ’ ৯০ টি, বরুড়ায় ২৩ হাজার ৫শ’ ৮৭টি, লাকসামে ১৭ হাজার ৬শ’ ১৫টি, নাঙ্গলকোটে ২৪ হাজার ৩শ’ ৬৬টি, চান্দিনায় ১৫ হাজার ৪শ’ ১১টি, দাউদকান্দিতে ১১হাজার ৫শ ৯টা, দেবিদ্ধারে ১৪ হাজার ৪শ’ ৭৭টি, মুরাদনগরে ১৮ হাজার ৪শ’ ৪৬টি, বুড়িচং উপজেলায় ১৩ হাজার ৬শ ১০টি, ব্রাক্ষণপাড়ায় ৮ হাজার ৬শ’ ১৪টি, হোমনায় ১১হাজার ৯শ ১২টি, মেঘনায় ৮ হাজার ২শ’ ৯৬টি, তিতাসে ১১হাজার ৯শ ৮১টি, সদর দক্ষিণে ৯হাজার ৬শ’ ৪৯টি, মনোহরগঞ্জে ১১হাজার ৮শ’ ৯১টি ও লালমাই উপজেলায় ২০ হাজার ১শ’ ৩৫টি।
এছাড়াও ২০২৩ সালে কুমিল্লায় কোরবানীর পশু ছিলো ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৯৮টি, ২০২২ সালে ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৪শ’ ৩২টি।
ব্রাক্ষণপাড়া এলাকার খামারি আলী আজগর জানান, গরুর গম, ভূষি, ভিটামিন, ভূট্টাসহ অন্যান্য খাবারের যা দাম বিক্রিতে ন্যায্য মূল্য পাওয়া যাবে কিনা চিন্তায় আছি। প্রতিবার গরু ডাক্তারকে হাজার হাজার টাকা দিতে হয়।
বরুড়ার ঝলম বাজারের রফিক্লু ইসলাম ব্যাপরি জানান, যদি ভারতের গরু প্রবেশ না করে। খামারিরা ভালো দাম পাবে। আর শেষ পর্যায়ের বাজারে দাম কেমন হবে। সেটা কেউ বলতে পারবে না।
কুমিল্লা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দার বলেন, কুমিল্লার যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো। তাই উদ্বৃত্ত বা ঘাটতি কোনটির জন্য গ্রাহকদের চিন্তা করতে হয় না। আমরা যে তথ্য প্রদান করেছি, তা মাঠ পর্যায়ের তথ্য। বিগত বছরে আমাদের খারাপ কোন রেজাল্ট নেই। কুমিল্লার মহাসড়কে প্রায় ২৪-২৫ জেলার সাথে ভালো যোগাযোগ আছে। যেখানে চাহিদা দিনে দিনে পশুর ট্রাক চলে যেতে পারে। আবার কুমিল্লায় যদি সংকট দেখা দেয়, ফোনে যোগাযোগ করে কয়েক ঘণ্টায় আমরা পশু নিয়ে আসতে পারি। প্রতিবছরের মতো জেলার বড় বড় বাজার গুলোতে আমরা পশুর চিকিৎসার জন্য ক্যাম্প চালু করবো।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ মে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান ঢাকায় ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে এক সম্মেলনে বলেন, কোরবানির চাহিদার চেয়ে ২২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৭৩ টি অতিরিক্ত গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। এবার কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৯ লক্ষ ৮০ হাজার ৩৬৭টি যা গতবারের চেয়ে ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ৩৪ টি বেশি। ফলে কোরবানির পশু নিয়ে কোনরকম সংশয়, সংকট বা আশঙ্কার কারণ নেই।