দেবিদ্বার প্রতিনিধি ।। কুমিল্লার দেবিদ্বারে ধর্ষণের ঘটনায় এক কিশোরী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বড় ভাই বাদি হয়ে রবিবার (১৯ মে) দুপুর ১২টার দিকে দেবিদ্বার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর অভিযুক্ত এরশাদ খাঁনকে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের দ্বিতীয় স্ত্রীর বোনের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরশাদ খাঁন উপজেলার বড়শালঘর ইউনিয়নের ছোটশালঘর গ্রামের মৃত আবদুস সালামের ছেলে এবং ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর প্রতিবেশী চাচা হয়।
মামলার এজহারসূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৬ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে নিজ গাছের কলা বিক্রির জন্য ওই কিশোরী পার্শ্ববর্তী ছৈয়দপুর বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে এরশাদ খাঁন ২০০ টাকার কলা কিনে টাকা তাঁর দোকান থেকে নিতে বলেন। পরে ওই কিশোরী বাকি কলা বিক্রি করে এরশাদের দোকান থেকে ২০০ টাকা আনার জন্য গেলে এরশাদ খান তার দোকানের ভিতরে নিয়ে দোকানের সাঁটার আটকে মুখে গামছা গুজে ও রশি দিয়ে হাত পা বেঁধে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এর পর বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই কিশোরীকে দোকানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। প্রতিবার ধর্ষণ শেষে ওই কিশোরীকে এ ঘটনা কাউকে জানালে তার বাবা মাকে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখাত। চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল ওই কিশোরী অসুস্থ্য হলে তাকে দেবিদ্বার সদর এলাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে এলে পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে চিকিৎসক তাকে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানান। অন্তঃসত্ত্বার কারণ জানতে চাইলে ওই কিশোরী পূর্বের সব ঘটনা জানায়।
এ বিষয়ে কিশোরীর বড় ভাইয়ের ভাষ্য, অভিযুক্ত এরশাদ খাঁন আমাদের একই বংশের চাচা হয়। সে বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার বোনকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এতে আমার বোন বর্তমানে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমি ধর্ষকের দৃস্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নয়ন মিয়া বলেন, কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার নং ১৩/১০৪। মামলার পর পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত এরশাদ খাঁনকে রামচন্দ্রপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এরশাদ এ ঘটনায় জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দিয়েছে।