স্টাফ রিপোর্টার ।। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দাফনের ৯ দিন পর বাড়ি ফিরলেন নিখোঁজ তরুণী রোকসানা আক্তার । গত বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে বাড়িতে হাজির হন রোকসানা । তাৎক্ষণিক ঘটনাটি জানাজানি হলে বাড়িতে উৎসুক মানুষ তাকে দেখতে ভিড় জমায় । এলাকাবাসীর প্রশ্ন, দাফন করা নারীতা হলে কে? ঘটনাটি উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর গ্রামে । এ নিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে । ফিরে আসা রোকসানা আক্তার ওই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের মেয়ে। শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে রোকসানার বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, মে মাসের শেষে রোকসানা আক্তার চৌদ্দগ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ছোট ভাই সালাহ উদ্দিনের চট্টগ্রামের ষোলশহরের বাসায় বেড়াতে যান । ১ জুন ভোরে কাউকে না জানিয়ে রোকসানা বাসা থেকে বের হয়ে যায় । এরপর দীর্ঘদিনআত্মীয়-স্বজনসহ সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করে ও তার সন্ধানপাওয়াযায়নি।গত ১৭ জুন ঈদুলআজহার দিন বিকেলে ফেনী শহরে ভাড়া বাসায় অবস্থানরত রোকসানার খালাতো বোন হাজেরা আক্তার ও খালাতো ভাই শাহজাহান খবর পান, ফেনী শহরের জিয়া মহিলা কলেজের সামনে ড্রেনে একজন নারীর লাশ পড়ে আছে । তারা সেখানে গিয়ে লাশের চেহারা রোকসানা আক্তারের চেহারার সঙ্গে মিল দেখে ভাই এবায়দুল হককে জানান । এর মধ্যে ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ লাশটির সুরতহাল শেষে উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় । রাতেই এবায়দুল হক জিয়া মহিলা কলেজের ড্রেন এলাকায় পৌঁছে স্থানীয়দের রোকসানার ছবি দেখিয়েলাশটি একই রকমকিনাজিজ্ঞেসকরলেসবাইছবির সঙ্গে মিলরয়েছেবলেজানান।পরেএবায়দুলহকসহআত্মীয়-স্বজনসহ ফেনীশহরপুলিশফাঁড়িতেগিয়েলাশউদ্ধারকারীউপপরিদর্শকপ্রতুল দাসের সঙ্গে দেখা করে বোন রোকসানার ছবি দেখান । পরে তারা রোকসানারলাশ শনাক্ত করে। পর দিনময়নাতদন্ত শেষেপুলিশএবায়দুলহকেরহাতে বোন রোকসানা আক্তারের লাশহস্তান্তর করে। ওইদিনবাদ আছর গুণবতীইউনিয়নেররাজবল্লবপুরমধ্যমপাড়ায়সামিশকরাদিঘির দক্ষিণপাড়ে তার লাশ দাফন করা হয়।লাশ দাফনের ৯ দিন পর গত বুধবার (২৬ জুন) বিকেলেবাড়িতেহাজিরহন রোকসানা। তাৎক্ষণিকঘটনাটিজানাজানিহলেবাড়িতেউৎসুকমানুষতাকে দেখতে ভিড়জমায়। এ সময়এলাকাবাসীতাকেজিজ্ঞেসকরলে, রোকসানাবলতে থাকে, কে বলছেআমিমারা গেছি। আমিচাকরির খোঁজেঢাকা গেছি। শরীরখারাপ থাকায়কারও সঙ্গে যোগাযোগকরতেপারিনি।রোকসানা আক্তার বলেন, আমি চট্টগ্রাম ভাইয়েরবাসা থেকে কাউকেকিছুনাবলেঢাকায়চলেযাই। সেখানেগিয়েআমিএকটিচাকরি পেয়েছি। যেহেতুআমিবাড়ি থেকে কোনোকাপড়নিয়েযাইনি, তাইকাপড়নিয়েযাওয়ার জন্য বাড়িতেফিরেআসি। বুধবার (২৬ জুন) বাড়িতেএসে দরজানককরলেআত্মীয়-স্বজনরাআমাকে দেখে হতবাকহয়েছেন। তখনআমিজানতেপারি, আমিনাকিমারা গেছিএবংআমারলাশও দাফন করা হয়ে গেছে। আমি তোজীবিতফিরেআসলাম।রোকসানারভাইএবায়দুলহকবলেন, ছবিতেকিছুটামিল থাকারকারণে বোনেরলাশমনে করে পুলিশ থেকে লাশটিএনে দাফন করা হয়েছে। বুধবারবিকেলে রোকসানাজীবিতবাড়িফিরলে ফেনীমডেল থানায়গিয়েপুলিশকেবিষয়টিঅবহিত করা হয়েছে।স্থানীয়ইউপিসদস্য আবু মুসাবলেন, লোকমারফতেবিষয়টিশুনেছি। তবেকারলাশ দাফন করা হয়েছে সেটিইএখন দেখারবিষয়।ফেনীশহরপুলিশফাঁড়িরউপপরিদর্শকপ্রতুল দাসবলেন, উদ্ধার করা লাশটিবিকৃত ছিল। এবায়দুলহক ও তার স্বজনরাউদ্ধারকৃত লাশটি রোকসানারবলে শনাক্ত করে আমারকাছ থেকে নিয়েযায়। এখন যেহেতুতাদের বোন স্বশরীরেবাড়িতেউপস্থিত হয়েছে, তাইআমরাবিষয়টিনতুন করে তদন্ত করব।চৌদ্দগ্রাম থানারওসিত্রিনাথ সাহাবলেন, বিষয়টি কেউ আমাকেঅবগতকরেনি। খবর নিয়ে দেখব আসলে কী ঘটেছে।