রুবেল মজুমদার ।। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যৌতুকের লোভে স্ত্রী ঝর্ণা আক্তারকে হত্যার দায়ে স্বামী আবদুল কাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এই রায় দেন। অপরদিকে এ মামলায় অভিযুক্ত অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।
আদালত সূত্র জানা যায়, ঘটনার ৪ মাস আগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চকলক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত মালু মিয়াদর ছেলে আব্দুল কাদের এর সাথে ভিকটিম ঝর্ণা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়ার কথা থাকলেও ২০ হাজার টাকা নগদে পরিশোধ করে বাকী ৩০ হাজার টাকার জন্য সময় নেওয়া হয়েছিল। উক্ত টাকার জন্য ভিকটিমকে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। পরে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়।
২০০৯ সালের ২৪ জুন ভোরে স্থানীয় একটি পুকুর থেকে ঝর্ণার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ঝর্ণার বোন খালেদা বেগম বাদী হয়ে স্বামী আবদুল কাদেরসহ আরো ৭ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী প্রদীপ কমার দত্ত বলেন, থানা পুলিশের পর সিআইডির তদন্ত শেষে ২০১৫ সালে তদন্ত কর্মকর্তা স্বামী আবদুল কাদের, মনোয়ারা বেগম, নাজমা আক্তার ও আবদুছ ছাত্তার নামে ৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। সর্বমোট ১২ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে আদালত এই রায় দেন।
এছাড়া রায়ে আসামি ঝর্ণার স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড অনাদায়ে ২ মাস সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।