সোমবার ২৯ GwcÖj ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement


এরশাদের দুর্নীতি মামলার রায় ৯ মে


আমাদের কুমিল্লা .কম :
12.04.2017

বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেয়ার অভিযোগে করা মামলার সাজার বিরুদ্ধে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের আপিল ও সাজা বৃদ্ধির জন্য সরকারের করা আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ৯ মে এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই দিন নির্ধারণ করেন।

দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। এরশাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম।

গত ২৭ মার্চ সাজার বিরুদ্ধে এরশাদের আপিল ও সাজা বৃদ্ধির জন্য সরকারের করা আপিল শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি।

এর আগে গত ২৩ মার্চ এরশাদের আপিলের রায় ঘোষণার জন্য তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু মামলাটিতে সরকারের করা আরও দুইটি আপিল নিষ্পত্তি না হওয়ায় বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা না করে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠান।

গত ৩০ নভেম্বর মামলাটিতে দ্বিতীয়বারের মতো আপিল শুনানি শুরু হয়। এর আগে ১৯৯৪ সালের ২২ নভেম্বর এই মামলার আপিল শুনানি শেষ হয়ে মামলাটি যেকোনো দিন রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পরে ওই রায় আর ঘোষণা করা হয়নি।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়। ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সেনানিবাস থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়। ওই মামলায় ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের রায়ে এরশাদের তিন বছরের সাজা হয়। একইসঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

জজ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে এরশাদ ১৯৯২ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১২ সালের ২৬ জুন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এইচ এম এরশাদের আপিলে পক্ষভুক্ত হয় দুদক।