জঙ্গিনেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের সঙ্গে শেষ দেখা করতে কাশিমপুর কারাগারে প্রবেশ করেছেন তার স্বজনরা। বুধবার সকালে মুফতি হান্নানের স্ত্রী ও মেয়েসহ পরিবারের চার সদস্য কাশিমপু কেন্দ্রীয় হাইসিকিউরিটি কারাগারে প্রবেশ করে।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মিজানুর রহমান জানান, সকালে মুফতি হান্নানের সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে আসেন তার স্ত্রী জাকিয়া পারভিন রুমা বেগম, বড় ভাই আলী উজ্জামান মুন্সী, মেয়ে নাজনীন ও নিশি খানম। কারাগারে প্রবেশ করে মুফতি হান্নানের সঙ্গে কথা বলেন।
মিজানুর রহমান জানান, স্বজনদের স্বাক্ষাৎ পর্বের পর জেলকোড অনুযায়ী যে কোনো সময় তার ফাঁসি কার্যকর করা হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে সেখানে থাকা আরেক ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নানের সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলের স্বজনরা এখনো দেখা করতে আসেননি।
এর আগে সোমবার দুপুরে মুফতি হান্নান ও বিপুলের প্রাণভিক্ষা নাকচের চিঠি কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে বিপুল ও মুফতি হান্নানের স্বজনদের দেখা করার জন্য বার্তা পাঠানো হয়।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রা.) এর মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মুফতি হান্নান এবং তার দুই সহযোগী বিপুল ও রিপনের ফাঁসির রায় দেন আদালত। গত ১৯ মার্চ আপিল বিভাগ সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে দণ্ড বহাল রাখে। পরে অপরাধের দায় স্বীকার করে গত ২৭ মার্চ রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করলে রাষ্ট্রপতি তাদের আবেদন নাকোচ করে দেন। গত সোমবার মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী বিপুলের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচের চিঠি কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছায়।