‘‘বছরব্যাপি ফল চাষে, অর্থ পুষ্টি দুই-ই আসে” এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে এবারের ফল মেলার আয়োজন করা হয়েছে। পুষ্টি বিজ্ঞানীগণের তথ্য মতে সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন ২০০ গ্রাম ফল খেতে হয়। আমাদের দেশে সীমিত উৎপাদনের কারণে আমরা খেতে পারছি মাত্র গড়ে ৮৫ গ্রাম। ফলের চাহিদা ও কৃষকের বাণিজ্যিক কৃষির বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে, লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন প্রকল্প এর আর্থিক সহযোগিতায়, কুমিল্লা নাঙ্গলকোট উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক ব্যবস্থাপনায়, উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের পরামর্শে, নাঙ্গলকোট সাহেদাপুর গ্রামে তরুণ কৃষক মোঃ ফরিদ উদ্দিনের ৫০ শতক জমিতে বারি মাল্টা-১ এর চাষ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মাল্টার অধিক পরিমাণে ফলন হওয়ায় ফরিদ উদ্দিন খুবই খুশি। মাল্টা বাগানটি এক নজর দেখার জন্য প্রতিদিনই গ্রামের বিভিন্ন স্তরের মানুষ ছুটে আসেন। কৃষক ফরিদ উদ্দিন বলেন, কৃষি বিভাগের নিয়মিত তত্ত্বাবধানে আমি উৎসাহিত হয়ে বাগানের পরিচর্যা করেছি। আমার সফলতা দেখে গ্রামের অনেকেই এখন থেকে মাল্টা চাষ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। আমি নিজেও এ্বছর আরো ২০ শতকের একটি বাগান নতুন করে সাজিয়েছি। আমার বাগানে এ পর্যন্ত এক লাখ টাকার মত খরচ হয়েছে। আসা করছি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারবো। আমি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সূর্যমুখী, ধান, মাছের চাষ এবং পুকুর পাড়ে লেবু চাষ করে কাঙ্খিত ফলন পেয়েছি। কৃষি কাজ করেই আমি এগিয়ে যেতে চাই। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।