নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ঢালুয়া ইউনিয়নের চান্দলা গ্রামে মায়া বেগম জবা (৭০) নামে এক বৃদ্ধাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে বৃদ্ধার পুত্রবধূ হালিমা আক্তার স্বপ্না শ্বাশুড়িকে নাস্তা দিতে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে শোর চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশে খবর দেয়। খুন হওয়া বৃদ্ধা মায়া বেগম জবা ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের স্ত্রী। ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা সোমবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে বৃদ্ধাকে খুন করে বালিশ চাপা দিয়ে রেখে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারী পুলিশ সুপার (চৌদ্দগ্রাম সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম ও নাঙ্গলকোট থানা তদন্ত কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চান্দলা গ্রামের আব্দুর রশিদ ১০ বছর পূর্বে মৃত্যু হয়। আব্দুর রশিদ দম্পতির ৫ ছেলে ৪ মেয়ে। ৫ ছেলের মধ্যে ৩ ছেলে সৌদিআরব ও এক ছেলে বাহরাইনে অবস্থান করেন। অপর ছেলে ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত। বাহরাইন প্রবাসী পুত্র জসিম উদ্দিনের স্ত্রী হালিমা আক্তার স্বপ্না ও শাশুড়ি মায়া বেগম জবা বাড়িতে থাকেন। স্বপ্না তার সন্তানদের নিয়ে থাকেন পুরাতন টিনসেড ঘরে এবং শাশুড়ি জবা একা থাকেন দালান ঘরে। সোমবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে দুর্বৃত্তরা দালান ঘরের ছাদের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে শাশুড়ি মায়া বেগম জবাকে হত্যা করে। দালান ঘরের আসবাবপত্র গুলো এলোমেলো হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়, তবে দুর্বৃত্তরা কোন মালামাল নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেনি নিহতের স্বজনরা।
নিহতের মেয়ের জামাতা পার্শ্ববর্তী কেকৈয়া গ্রামের শাহ আলম বলেন, আমার শাশুড়ি দু’দিন আগে আমাদের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে এসেছেন। আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খবর পেয়ে পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবী জানাই।
নাঙ্গলকোট থানার তদন্ত কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম বলেন, নিহতের ঘরের আলমিরার তালা ভাঙ্গা পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে চুরির উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তরা ঘরে প্রবেশ করার পর বৃদ্ধা চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত চলমান আছে।