মঙ্গল্বার ৩০ GwcÖj ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement
  • প্রচ্ছদ » sub lead 3 » মৃত্যুপরোয়ানা শুনলেন মুফতি হান্নান, প্রাণভিক্ষার সিদ্ধান্ত পরে


মৃত্যুপরোয়ানা শুনলেন মুফতি হান্নান, প্রাণভিক্ষার সিদ্ধান্ত পরে


আমাদের কুমিল্লা .কম :
22.03.2017

ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির আদেশ জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলকে পড়ে শোনানো হয়েছে। এটা মৃত্যু পরোয়ানা নামে পরিচিত। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন কি না-এই সিদ্ধান্ত জানাতে তারা কিছুটা সময় চেয়েছেন বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

মুফতি হান্নানের ফাঁসির রায় রিভিউ আবেদন খারিজের আদেশ মঙ্গলবার গভীর রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে দুইজনকে এই আদেশ পড়ে শোনানো হয় বলে ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন জেলার বিকাশ রায়হান। এ সময় জেল সুপার মিজানুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।

আইন অনুযায়ী এখন আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে অপরাধ স্বীকার করে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। জেলার বিকাশ রায়হান জানান, ‘মুফতি হান্নান বলেছেন, চিন্তা ভাবনা করে এই সিদ্ধান্ত জানাবেন জানিয়ে কিছুটা সময় চেয়েছেন তারা।’

এই মামলায় এই দুইজন ছাড়াও মৃত্যুদণ্ড হয়েছে দেলোয়ার হোসেন রিপনেরও। তিনি বন্দী আছেন সিলেট জেলা কারাগারে। তাকেও একইভাবে মৃত্যুপরোয়ানা পড়ে শুনিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার ইচ্ছার কথা জানতে চাওয়া হবে জানিয়ে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাণভিক্ষা না চাইলে বা চাওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যাত হলে কারাবিধি অনুসারে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হবে।

২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।

এরপর রায় অনুমোদন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ২০০৯ সালে আসামিরা জেল আপিলও করেন।

২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত এই দণ্ড বহাল রাখে। পরে ১৪ জুলাই আপিল করেন দুই আসামি হান্নান ও বিপুল। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর এই আবেদন খারিজ হয়ে গেলে ১৭ জানুয়ারি রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করা হয়। ১৯ মার্চ রবিবার রিভিউ খারিজ হয়ে যায়। পরে রিভিউ খারিজের রায় মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়।