শুক্রবার ২৬ GwcÖj ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement


চান্দিনার বসন্তপুরে আতঙ্ক


আমাদের কুমিল্লা .কম :
05.10.2021

কিশোরীকে গলা কেটে হত্যার তিনদিন পর পিতাকেও হত্যার চেষ্টা

 

মাসুমুর রহমান মাসুদ,চান্দিনা
কুমিল্লার চান্দিনায় কিশোরীকে গলা কেটে হত্যার তিন দিন পর পিতা সোলেমান ব্যাপারীকেও গলা কেটে হত্যা চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত সোলেমান ব্যাপারী (৪৫) ওই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি তার মেয়ে সালমা আক্তার হত্যা মামলার বাদী। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোলেমান ব্যাপারীর অবস্থা আশংকাজনক।
এদিকে সোলেমানের মেয়ে সালমা আক্তার হত্যা মামলার কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এনিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- চান্দিনার বসন্তপুর গ্রামের সোলেমান ব্যাপারী ও তার ভাতিজাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে গত ২৫ সেপ্টেম্বর তার ভাতিজারা সোলেমান ব্যাপারীর স্ত্রীকে মারধর করায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১ অক্টোবর রাতে সোলেমানের মেয়ে সালমাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ পুকুরের ফেলে দেয়। ওই ঘটনায় নিহতের পিতা সোলেমান বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। সোমবার সন্ধ্যা থেকে সোলেমান ব্যাপারীকে খুঁজে পাচ্ছিল না পরিবার। মঙ্গলবার ভোরে বাড়ির পাশের একটি বাগানে আহতাবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।
সোলেমান ব্যাপারীর বড় মেয়ে এলমা আক্তার জানান, সোমবার রাত ৮টায় বাড়ির পাশের ইউনুছের দোকানে যাওয়ার পর থেকে আব্বাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। মোবাইল ফোনে কল দিয়েও বন্ধ পাই। পরবর্তীতে আমরা থানায় খবর দেই। পুলিশ এসেও বিভিন্ন স্থানে খুঁজে না পেয়ে চলে যায়। মঙ্গলবার ভোরে গ্রামের এক লোক বাড়ির পাশের একটি বাগানে আব্বার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও গলায় কাটা অবস্থায় দেখতে পান।
সালমা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুজন দত্ত জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বাদী সোলেমানকে নিয়ে থানায় হাজির হতে ওয়ার্ড মেম্বার ইসমাইল হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর মেম্বার জানান, সোলেমানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রাতে সোলেমানের পরিবার থানাকে অবহিত করলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েও তাকে খুঁজে পাইনি।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ মোহাম্মদ আরিফুর রহমান জানান, আহতকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে আশঙ্কা মুক্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এর আগে তার মেয়েকে হত্যার ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।