মঙ্গল্বার ৩০ GwcÖj ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement
  • প্রচ্ছদ » খেলাধুলা » আজ শুরু হচ্ছে বিশ^কাপ ফুটবলের উম্মাদনা বিশ^কাপ ফুটবল চলাকালে কুমিল্লায় লোডশেডিং হবে না


আজ শুরু হচ্ছে বিশ^কাপ ফুটবলের উম্মাদনা বিশ^কাপ ফুটবল চলাকালে কুমিল্লায় লোডশেডিং হবে না


আমাদের কুমিল্লা .কম :
20.11.2022

সাকলাইন যোবায়ের ।। ফিফা কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে আজ ২০ নভেম্বর রবিবার থেকে। কিন্তু ফুটবল প্রেমীদের মনে শঙ্কা কাজ করছে লোডশেডিংয়ের কারণে তারা সময় মত খেলা দেখতে পারবেন কিনা। ফুটবলের ভক্ত সমর্থকদের আশ^স্ত করেছেন, কুমিল্লা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী পারভেজ আহমেদ । তিনি বলেছেন, কুমিল্লার দর্শকরা যাতে নির্বিঘ্নে বিশ^কাপ ফুটবল খেলা দেখতে পারে সেই দিকে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে।
এরই মধ্যে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে ফুটবল প্রেমীদের উম্মাদনা। নিজের প্রিয় দলের সমর্থনে করছে পতাকা মিছিল। দেশের অন্যান্য জায়গার মত কুমিল্লাতেও রয়েছে আর্জেনটিনা ও ব্রাজিল উম্মাদনা। নগরীর কান্দিরপাড়, চকবাজার, কাপড়িয়াপট্টি,বাগিচাগাঁও, মনোহরপুর,রাজগঞ্জ,নুরপুর, তেলিকোনা,আশোকতলা,টমছমব্রীজ,রানীর বাজার এবং মোগলটুলিসহ বিভিন্ন এলাকার বড় বড় বহুতল ভবন এবং দোকানপাটে আর্জেনটিনা – ব্রাজিলের পতাকা উড়তে দেখা যায়। কুমিল্লার ফুটবল প্রেমীদের মনে একটি আশঙ্কা বিরাজ করছে লোডশেডিংয়ের কারনে না জানি তারা প্রিয় দলের খেলা দেখতে না পারেন।
ব্রাজিল সমর্থক একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থায় চাকুরী করা তামজিদ আহমেদ বলেন, লোডশেডিংয়ের জন্য ভয় হচ্ছে । না জানি টিভিতে ব্রাজিলের খেলা দেখার সময় বিদ্যুৎ চলে যায়।
একই কথা জানালেন আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক ও ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আবু রায়হান । তিনি বলেন,আমরা ৮ থেকে ১০ জন মিলে এক সাথে খেলা দেখি।একসাথে খেলা দেখার মজাই আলাদা। কিন্তু মনের মধ্যে ভয় বিরাজ করছে, না জানি বিদ্যুৎতের লোডশেডিং এর জন্য প্রিয় দলের খেলা দেখতে না পারি।
কুমিল্লা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী পারভেজ আহমেদ দৈনিক আমাদের কুমিল্লাকে বলেন, কুমিল্লায় এখন লোডশেডিং কম হচ্ছে। আমরা আপনাদের মাধ্যমে কুমিল্লার ফুটবল প্রেমীদের আশ^স্ত করে বলতে চাই , ফুটবল বিশ্বকাপ খেলা চলাকালীন সময়ে কুমিল্লায় লোডশেডিং হবে না। কুমিল্লাবাসী যেন নির্বিঘ্নে টিভিতে তাদের প্রিয় দলের খেলা দেখতে পারে আমরা বিদ্যুৎ বিভাগ সেই ব্যবস্থা গ্রহন করব ইনশাআল্লাহ।
এদিকে, বিশ^কাপ ফুটবলের ইতিহাস জানতে গিয়ে জানা যায়, ফুটবলের জন্মস্থান গ্রিস নাকি চীন এই বিতর্ক থামিয়ে শেষমেশ আধুনিক ফুটবলের জন্মস্থান ইংল্যান্ড বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বর্তমান ফুটবলের যে নিয়মকানুন এমনকি প্রতি দলে এগারো খেলোয়াড়ের ব্যবস্থা, একজন গোলরক্ষকের সিদ্ধান্ত, গোলপোস্ট, গোলপোস্টে জাল ব্যবহার, গোলপোস্টে ক্রসবার ব্যবহার, জার্সি নম্বর ব্যবহার, খেলার সময় নির্ধারণ, পেনাল্টি কিকের ব্যবহার এগুলো ধাপে ধাপে এসেছে। প্রথম স্বীকৃত ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ফিফা প্রতিষ্ঠার বহু আগে, যদিও প্রতিষ্ঠার পর ফিফা এটাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। ফিফা প্রতিষ্ঠার চার বছর আগে ১৯০০ সালের অলিম্পিকে ফুটবলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যদিও ওই খেলার জন্যে কোন পুরস্কারের ব্যবস্থা ছিল না; ছিল প্রদর্শনী ম্যাচ। প্রদর্শনী ম্যাচ আয়োজনের আট বছর পরের অলিম্পিকে ফুটবলকে আনুষ্ঠানিক খেলার স্বীকৃতি দেয় অলিম্পিক। ফিফার বয়স তখন চার বছর; ১৯০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, সংক্ষেপিত রূপ এর ফিফা।
প্রথম বিশ্বকাপের আয়োজন হয় ১৯৩০ সালে। স্বাগতিক ছিল দক্ষিণ আমেরিকার দেশ উরুগুয়ে। পরের বিশ্বকাপগুলোর আয়োজন যথাক্রমে ইতালি (১৯৩৪), ফ্রান্স (১৯৩৮), ব্রাজিল (১৯৫০), সুইজারল্যান্ড (১৯৫৪), সুইডেন (১৯৫৮), চিলি (১৯৬২), ইংল্যান্ড (১৯৬৬), মেক্সিকো (১৯৭০), জার্মানি (১৯৭৪), আর্জেন্টিনা (১৯৭৮), স্পেন (১৯৮২), মেক্সিকো (১৯৮৬), ইতালি (১৯৯০), যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৪), ফ্রান্স (১৯৯৮), দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান (২০০২), জার্মানি (২০০৬), দক্ষিণ আফ্রিকা (২০১০), ব্রাজিল (২০১৪), রাশিয়া ২০১৮; এবং এবার কাতারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বকাপের ২২তম আসর। ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার বাইরে কেবল মেক্সিকো একাধিকবার বিশ্বকাপের আয়োজন করে।
নভেম্বরের ২০ তারিখে কাতার ও ইকুয়েডরের ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপের। ১৮ ডিসেম্বরের ফাইনালের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটবে ২২তম আসরের। এত কাছে বিশ্বকাপ ফুটবল কিন্তু এখন পর্যন্ত নেই তেমন হাঁকডাক, উৎসব, আয়োজন। কী কারণ এর? আয়োজক দেশ কাতারের ব্যর্থতা, ফিফার উদাসিনতা, নাকি অন্য কিছু? ফিফা ফুটবলের বৃহৎ এই আয়োজন নিয়ে কখনই উদাসিন হয় না ফিফা, স্বাগতিক দেশ হিসেবে কাতারের উদাসিনতাও এখানে নেই। তবে কারণ অন্য, এবং এটা স্বাগতিকদেরই। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ হিসেবে কাতার এমনিতেই রক্ষণশীল, কিন্তু বিশ্বকাপের মতো বহুজাতিক এই ফুটবল টুর্নামেন্টে যেখানে সারাবিশ্বের মানুষের চোখ থাকে সেখানে বিশ্বনাগরিকের চাওয়া মেটাতে পারছে না স্বাগতিক দেশ। এটা মূলত আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারা। সংকীর্ণতা, সংকীর্ণতা থেকে উদ্ভূত সীমাবদ্ধতা।
তারপরও আজ থেকে আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশে^র কোটি কোটি দর্শকের চোখ থাকবে কাতার বিশ^কাপে। আমরা চাই বিশ^ কাঁপুক বিশ^কাপে।