তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেলো উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল গ্রামের উম্মে খাদিজা আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরী। খাদিজা শিমরাইল দাখিল মাদরাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী এবং ওই গ্রামের মো: আব্দুর রশিদ বেপারীর কন্যা। সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে তার বাল্য বিয়ে বন্ধ হয়। পরে বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বর ও কনের পিতাকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শিমরাইল গ্রামের আবদুর রশিদ ব্যাপারীর মাদরাসা পড়ুয়া কিশোরী কন্য ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী খাদিজা আকতারের সাথে একই গ্রামের মো: ফজল মিয়ার প্রবাসী ছেলে মো: শাহপরান (২৫) এর বিবাহের দিন ধার্য করা হয়। সোমবার বিবাহ হওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিলো। বিয়ে উপলক্ষে কনের পিতার বাড়িতে চলছিলো অতিথিদের খাওয়ানো পর্ব। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুদ উল আলম ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বরযাত্রী ও অন্যান্য লোকজন এদিক ওদিক ছুটতে শুরু করে। তিনি এই বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দেন। অপ্রাপ্ত বয়সে মেয়েকে বিয়ে দেয়া এবং বিয়ে করানোর অপরাধে কনের বাবা মো: আব্দুর রশিদ বেপারীকে ৫০ হাজার টাকা এবং বরের বাবা মো: ফজলু মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়ে বিয়ে দিবেননা মর্মে ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট উভয়েই মুচলেকা দেন। এ সময় এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উল আলম বলেন, উপজেলার শিমরাইল গ্রামে বাল্য বিবাহের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়। বাল্য বিবাহ দেয়া এবং করানোর অপরাধে কনের পিতা এবং বরের পিতাকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।