আবু সুফিয়ান রাসেল,কুমেক।।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের চিত্রের পরিবর্তন হয়েছে। আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন নষ্ট থাকায় দীর্ঘ দিন আলট্রাসনোগ্রাম কুমেক হাসপাতালে বন্ধ ছিল। এ পরীক্ষা বাহিরে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করতে হতো। পূর্বে আলট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষার প্রতিবেদন ডাক্তারকে দেখানোর জন্য কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হতো। এখন বহিঃবিভাগ চলাকালিন পরীক্ষা করে রিপোর্ট ডাক্তারকে দেখিয়ে পরামর্শ নিয়ে যেতে পারে রোগীরা। রেডিওলজী এন্ড ইমেজিং বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে চলতি বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ১০০০জন, মার্চ ৯৫৬জন, এপ্রিল ১১০০জন (প্রায়) রোগীকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলট্রাসনোগ্রাম সেবা দেওয়া হয়েছে। বাহিরে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে আলট্রাসনোগ্রাম করাতে খরচ হয় ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা। এ হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাম সম্পূর্ণ পেট করতে নেওয়া হয় ২২০টাকা আর সিংগেল, তলপেট, প্রেগনেন্সি আলট্রাসনোগ্রাম ১১০ টাকা।
আলট্রাসনোগ্রাম বিভাগের ইনচার্জ আল মামুন জানান, রোগী যদি খালি পেটে আসে, আমরা কোন রোগীকে ফেরৎ পাঠাই না। নির্ধারিত মূল্য থেকে বেশি নেওয়া হয় না। আমরা টাকা নেওয়ার সাথে সাথে রসিদ বুঝিয়ে দেই।
এ বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালক স্বপন কুমার অধিকারি বলেন, আমরা সেবা দেওয়ার জন্য সদা প্রস্তুত। হাসপাতালের বেশির ভাগ বিভাগের মেশিন চলতেছে। কিছু মেশিন নষ্ট আছে, মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি আশা করি দ্রুত সমাধান হবে।