স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্সবৃদ্ধি নিয়ে বুধবার নগর ভবনের অতীন্দ্র মোহন রায় মিলনায়তনে ২৭ ওয়ার্ডের তিনশতাধিক নাগরিকের অভিযোগ শুনেন মেয়র মনিরুল এক সাক্কু। এ সময় মেয়র নাগরিকদের নানা প্রশ্নের জাবাব দেন ও ট্যাক্সবৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করেন।
মেয়র সাক্কু বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পর কুমিল্লা শহরে ভবন বেশী। সরকারি ভাবে ট্যাক্সবৃদ্ধি করা হয়েছে। এখানে আমার কিছু করার নেই। যার কারণে আপনাদের কর বেশী এসেছে। সরকারি হিসাব হলো, প্রতি কক্ষ মাসে এক হাজার টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স। সেটি বছরে ১২ হাজার টাকা ট্যাক্সদেওয়ার কথা। আমরা দুই মাস বাদ দিয়ে হিসাব করেছি। তারপরও আবার ১৭% কম ধরেছি। এরপর যা এসেছে তার থেকেও কম ধরেছি। যারা ২০ টাকা দিয়ে আবেদনপত্র জমা দিয়েছে, কাউকে হতাশ করিনি। কাউকে ৩০%, কাউকে ৫০% পর্যন্ত কওকুফ করেছি। আবার যারা এ টাকা একসাথে জমা দিবে, কর শাখা থেকে আবার একটা অফার পা”েছ। ট্যাক্সআমি বাড়াইনি, সরকার বৃদ্ধি করেছে। সব কিছুর দাম বেড়েছে। সাত বছর আগে,নগরীতে একটা ভবনের ট্যাক্স, যা ছিলো এখনতো তা হবে না। এ ট্যাক্সের সাথে পানি, সড়কে বিদ্যুৎ, পরিষ্কার রেইট, সিটি করের বিলসহ মোট সাতটি নগরিক সুবিধার কথা বলা আছে। তবে এ সুবিধা আমার সকল নাগরিক পায় না, ধারাবাহিক ভাবে সকল নাগরিকদের সমান সুবিধা দিতে হলে, সরকারি নিয়মে কর দিতে হবে। এ যে আমি গাড়িতে চলি, এটার তেলের খরচ যায়, আপনাদের ট্যাক্সের টাকায়। আমি আপনাদের উপর কর বৃদ্ধি করিনি। মন্ত্রণালয় থেকে যে আদেশ দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ট্যাক্সনি”েছ। এখানে লুকোচুরির কোন কিছু নেই। আপনার যথাযথ নিয়মে ট্যাক্সদিন, সরকারের উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন।