সোমবার ১৩ †g ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement
  • প্রচ্ছদ » sub lead 3 » বরুড়ার জামতলা ব্রিজের দুর্ভোগে ১২ গ্রামের মানুষ


বরুড়ার জামতলা ব্রিজের দুর্ভোগে ১২ গ্রামের মানুষ


আমাদের কুমিল্লা .কম :
21.05.2020

আবু সুফিয়ান রাসেল।।
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার চিতড্ডা ইউনিয়নের জামতলা ব্রিজ। ছোট এ ব্রিজটির ভোগান্তিতে পড়েছে ১২ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময়ে মানুষ যাতায়াতের জন্য রাখা হয়নি বিকল্প সড়ক। কাজে ধীর গতি। এই সময়ে কাজ শুরু করায় স্থানীয়দের মাঝে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। হাতবদল হয়েছে একাধিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাঝে। ঠিকাদার বলছেন কাজ টেকসই করার জন্যই অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
সূত্র জানায়, চিতড্ডার জামতলার এ ব্রিজটি বরুড়ার ঝলম বাজার থেকে চান্দিনা ও চাঁদপুরের কচুয়া যাতায়াতে ব্যবহার করা হয়। এড়াছাও কাদুটি, নবাবপুর, রামমোহন, ঝলম ও আড্ডা বাজার যাতায়াতে স্থানীয়রা এ সড়কটি ব্যবহার করেন। ওড্ডা, চিতড্ডা, চাইলছোঁ, নোয়াপাড়া, পদুয়ার পাড়, কাতিয়ার পাড়, ভূয়ারি, ভামন্ডা ও পাশাপাশি গ্রামের হাজারও মানুষ এ ব্রিজটি ব্যবহার করে থাকেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ চৌধুরী বলেন, এলাকার এই ব্রিজের কাজ এক-দুই ইঞ্চি গতিতে এগিয়ে চলছে!
আলী হোসেন চৌধুরী বলেন, এম্বুলেন্স বা জরুরি যানবাহন কীভাবে চলাচল করবে? করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের জন্য মেডিকেল টিম খলারপাড়-জটাসার গ্রাম ঘুরে হাটিয়ে আনতে হয়েছে। কাজটি দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন।
চিতড্ডা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম মন্তব্য করেন, বরুড়া লক ডাউন ঘোষণার পর এ ব্রিজের কাজ শুরু হয়েছে। এখন কাজে ধীরগতি। এ যেন সমস্যার মাঝে আরেক সমস্যা। এখন সকল উন্নয়ন কাজ বন্ধ। এ বন্ধের মধ্যে কেন এ উন্নয়ন কাজ শুরু করা হয়েছে? সামনে বৃষ্টির মৌসুম। এর পূর্বে তারা কাজটি শেষ করার অনেক সময় ছিলো।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জাবেদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. জহির জানান, এ কাজটি এইচ ডি ট্রেডার্সের মিজান ভাইয়ের। আমরা এক সাথে কাজ করি। শেষ সময়ে কাজটি আমার হাতে এসেছে। চেষ্টা করছি দ্রুত শেষ করার জন্য। এখানের মাটি ভালো না, যার কারণে ব্রিজের ফাউন্ডেশন তৈরি করতে সময় চলে গেছে। বেকু দিয়ে দুইবার, শ্রমিক দিয়ে তিনবার মাটি খনন করতে হয়েছে। খালটি ত্রিমুখী হওয়ার কারণে বিকল্প সড়ক রাখা যায়নি। মাটি দিয়েছি, মাটি ভেঙ্গে যায়। আমরা উত্তরবঙ্গের নির্মাণ শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাই। তারা করোনার কারণে দেশে চলে গেছে, এখন স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে কাজ এগিয়ে নিতে হচ্ছে। আশা করি এক মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।
বরুড়ার উপজেলা প্রকৌশলী ফুয়াদ হাসান বলেন, এ কাজের টাইম চলে গেছে বহু আগেই। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি অন্যজনকে দিয়ে করাচ্ছে। এ জন্য করোনার এ সময়ে তারা কাজ অব্যাহত রেখেছে। এখন পুরোদমে কাজ চলছে। তারা চেষ্টা করছে, অল্প সময়ে কাজটি শেষ করার। কারণ সামনে বর্ষাকাল।