সোমবার ১৩ †g ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement
  • প্রচ্ছদ » sub lead 3 » স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা, দৌলতগঞ্জ বাজারে জমজমাট ঈদ কেনাকাটা


স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা, দৌলতগঞ্জ বাজারে জমজমাট ঈদ কেনাকাটা


আমাদের কুমিল্লা .কম :
20.05.2020

নাসির উদ্দিন চৌধুরী,লাকসাম।।

লাকসামে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে জমজমাটভাবে চলছে ঈদের কেনাকাটা। লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারের মার্কেট, শপিংমল, বিপনী বিতান ও ফুটপাতে মানুষের উপচেপড়া ভীড় দেখা গেছে। কেনাকাটায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে ছিলনা কোন সামাজিক দূরত্ব। মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভসসহ কোন সুরক্ষা সরঞ্জামেরও ব্যবহারও দেখা যায়নি। মার্কেটগুলোর সামনে জীবানুনাশক চেম্বারগুলো নামে মাত্র বসালেও তা ব্যবহার করতে দেখা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারে প্রতিদিন ভোররাত থেকে আশপাশের উপজেলা নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ, লালমাই, সদর দক্ষিণ, বরুড়া, চৌদ্দগ্রাম থেকে হাজার হাজার নারী, পুরুষ ঈদের কেনাকাটা করতে ছুটে আসে। এতে প্রতিদিন বাজারে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে সারাদিন।
লালমাই থেকে আসা রহিমা বেগম জানান, তিনি কুমিল্লা শহর থেকে ঈদ মার্কেটিং করতেন। কিন্তু এবার কুমিল্লা শহরের মার্কেট বন্ধ থাকায় আমরা লাকসামে মার্কেটিং করতে এসেছি।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি তদারকিতে স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোন নজরদারী না থাকায় সচেতন মহল আতংকিত হয়ে পড়েছে। তারা জানায়, এতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ক্রেতাদের কারণে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে। এমনিতেই লাকসামে দিনদিন বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও কয়েকজন সচেতন নাগরিক জানান, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে জমজমাট বাজারের কারণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে লাকসাম পৌর শহরে এক ব্যবসায়ীসহ ২২জন আক্রান্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আশপাশের উপজেলার লোকজন যেভাবে ভীড় করছে তাতে সংক্রমণ আরো বাড়তে পারে।
লাকসাম কাপড় ও গার্মেন্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন জানান, আমরা প্রশাসনের নিয়ম মেনেই বেচাকেনা করছি। সর্বোচ্চ সর্তকতায় ক্রেতাদের মার্কেটে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা হচ্ছে।
লাকসাম পৌর মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের জানান, করোনা দুর্যোগে লাকসাম বাজারকে জীবাণুমুক্ত ও জনসমাগম যেন না হয় তা নিয়ে পৌরসভা শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু গত ১০মে থেকে ১৪টি শর্ত মেনে দোকান খোলার অনুমতি দেয়া হলে কেউ কেউ স্ব-স্ব উদ্যোগে দোকান খোলা রেখেছেন আবার কেউ কেউ বন্ধও রেখেছেন। তবে ইদানিং স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের দেয়া ১৪টি শর্ত মানছেন না বলে দেখা যাচ্ছে। এনিয়ে আমরা ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা করেছি। বৃহস্পতিবার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় ছাড়া অন্যান্য দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।