বৃহস্পতিবার ২ †g ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement


নারী ঘটিত বিষয়ে কোপানো হয় নৈশপ্রহরী নাছিরকে


আমাদের কুমিল্লা .কম :
19.01.2020

মাসুমুর রহমান,চান্দিনা: কুমিল্লার চান্দিনায় মহাসড়কে নৈশপ্রহরী মো. নাছির উদ্দিন (২৬) এর ছিন্নভিন্ন মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার পাঁচদিন পর হত্যাকাÐের ক্লু খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। হত্যাকাÐের সাথে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটকের পর তাদের মধ্য থেকেই প্রকৃত হত্যাকারীকে শনাক্ত করত সক্ষম হয় পুলিশ।
হত্যাকাÐের একদিন পর টাকার জন্য নাছিরকে হত্যা করা হয়েছে বলে এলাকায় গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। তবে পুুলিশের একাধিক সূত্রে জানা যায়, দোকানি নাছির উদ্দিনকে অর্থের জন্য নয়, হত্যাকারীদের নারী ঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে নিরপরাধ নাছিরকে কোপানো হয়। হত্যাকারীদের হাত থেকে বাঁচতে শতচেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে অবশেষে নাছিরের মরদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে মহাসড়কের দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর রহস্য উদঘাটনে পুলিশের তিনটি ইউনিট মাঠে নামে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করে। তারা হলো- চান্দিনার নাওতলা গ্রামের মাদুল মিয়ার ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন, একই গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে আল-আমিন ও মজিব মিয়ার ছেলে সোহাগ। তাদের মধ্যে একজনের তথ্যে হত্যার ক্লু খুঁজে পাওয়া যায়।
কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশের অফিসার ওসি আনোয়ারুল আজিম জানান, আমরা হত্যাকাÐের ক্লু খুঁজে পেয়ে রহস্য উদঘাটনের খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত জানানো যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, ১২ জানুয়ারি রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নাওতলা আলিম মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি মার্কেটে নৈশ প্রহরীর কাজ করত নাওতলা গ্রামের রবিউল্লাহ। ওই মার্কেটে চা দোকানের ব্যবসা করত রবিউল্লাহর ছেলে নাছির উদ্দিন। রবিবার রাতে রবিউল্লাহ শারীরিক অসুস্থতার কারণে নৈশ প্রহরীর দায়িত্ব পালন করে ছেলে নাছির উদ্দিন। রাতের কোন এক সময়ে হত্যাকারীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ মহাসড়কে ফেলে দেয়। রাতে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মহাসড়কের দেড় কিলোমিটার জুড়ে মরদেহের বিচ্ছিন্ন অংশ পড়ে থাকে। সকালে দেহের অংশ বিশেষ উদ্ধার করে পুলিশ।