রবিবার ১৯ †g ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement
  • প্রচ্ছদ » sub lead 3 » কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ২১৯টি পদের মধ্যে ১২৪টি পদই শুণ্য


কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ২১৯টি পদের মধ্যে ১২৪টি পদই শুণ্য


আমাদের কুমিল্লা .কম :
21.04.2017

স্টাফ রিপোর্টার।। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ২১৯টি পদের মধ্যে ১২৪টিই বর্তমানে খালি রয়েছে। দীর্ঘদিন শূন্য থাকার পরও এসব পদে লোকবল নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। এছাড়াও গুরুত্বপূণূ পদে লোকবল না থাকায় বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে ।
গত সোমবার দুপুরে বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, বোর্ডে কর্মরত কর্মচারীরা নতুন লোকবল নিয়োগের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. আবদুস সালাম বলেন, ১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম বিভাগের ১৫টি জেলা নিয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড কাজ শুরু করে। ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কার্যক্রম শুরু হয় চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলা নিয়ে। ২০০১ সালে সিলেট শিক্ষা বোর্ড স্থাপিত হয়। তখন বৃহত্তর সিলেটের চার জেলা সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ ওই বোর্ডের অধীনে চলে যায়। সময়ের পরিক্রমায় বোর্ডের কর্মপরিধি এলাকা ছোট হয়ে আসে। এখন কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলা নিয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড। একসময়ের বড় শিক্ষা বোর্ডটি তিন টুকরো হয়ে যায়। বর্তমানে কুমিল্লা বোর্ডে কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অনুমোদিত পদের সংখ্যা ২১৯টি। এর মধ্যে পদ শূন্য ১২৪টি। প্রথম শ্র্রেণির ২৪টি পদের মধ্যে ছয়টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ১৯টি পদের মধ্যে ১১টি, তৃতীয় শ্রেণির ১১৫টি পদের মধ্যে ৮১টি এবং চতুর্থ শ্রেণির ৬১টি পদের ২৬টি পদ শূন্য রয়েছে। প্রথম শ্রেণির পদগুলোর মধ্যে তথ্য কর্মকর্তা, ক্রীড়া কর্মকর্তা, অডিট অফিসার, প্রোগ্রামার, সহকারী প্রোগ্রামার ও সহকারী মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারের একটি করে পদ শূন্য রয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণির পদের মধ্যে সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শকের তিনটি, সহকারী সচিব, সহকারী কলেজ পরিদর্শক, একান্ত সচিব (চেয়ারম্যান), সহকারী ক্রীড়া কর্মকর্তা, নিরাপত্তা কর্মকর্তা, সহকারী গ্রন্থাগারিক, উপসহকারী প্রকৌশলী ও ডাটা এন্ট্রি কম্পিউটার অপারেটরের একটি করে পদ খালি রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘তথ্য, ক্রীড়া, প্রকৌশলী, একান্ত সচিব, নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও সহকারী গ্রন্থাগারিকের পদগুলো শূন্য থাকার কারণে বোর্ডের সার্বিক কাজের ওপর চাপ পড়ছে। একজন উপসচিব (একাডেমিক) দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত ক্রীড়া কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। তথ্য কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকায় বোর্ডে সেবা নিতে এসে মানুষকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।’
বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুল খালেক বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শূন্য পদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় লোকবল নিয়োগ দিলেই শূন্য পদ পূরণ হবে।’