সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ।। কুমিল্লা নগরীর বিসিক সড়কের পাশে নোনাবাদ পুকুর পাড়ের আধা কিলোমিটারের চেয়েও কম রাস্তার মধ্যে ০৫টি স্পিড ব্রেকার বসানো হয়েছে। আরও ৫ টি বসানোর কাজ চলমান আছে। এ পথ পেরোতে ১০টি স্পিড ব্রেকার টপকাতে হবে প্রতিটি যানবাহনকে। অথচ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নেই কোন স্পিড ব্রেকার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে এ নোনাবাদ সড়কটির কাজ হয়। পরবর্তীতে ওই এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে সড়কে বসানো হয়েছে ৫ টি স্পিড ব্রেকার। নেই কোন অনুমতি।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির এক সদস্য জানান, রাজনৈতিক নেতাদের চাঁপে এগুলো বসানো হয়েছে। এক্ষেত্রে তারা প্রায় অসহায়। অথচ সড়ক-মহাসড়কে এভাবে স্পিড ব্রেকার দেওয়ার বিধান নেই। দিকনির্দেশক চিহ্ন এবং পথচারী পারাপারের জেব্রা ক্রসিংয়ের বাইরে এসব সড়কে থাকতে পারে। অথচ বিপজ্জনক স্পিড ব্রেকারগুলো বসিয়ে শুধু গাড়ির ক্ষতিই করা হচ্ছেনা, দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে কয়েকগুণ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের পাশে ৫/৭টি দোকান থাকলেই তার দু’প্রান্তে বসিয়ে দেয়া হয়েছে দুটি স্পিড ব্রেকার। কোথাও কোথাও প্রভাবশালী কারো বাড়িতে প্রবেশের শাখা সড়ক কিংবা বিত্তশালী শিল্প মালিকের কারখানার সামনেও তৈরি করে রাখা হয়েছে জোড়ায় জোড়ায় গতিরোধক। যেমনটা দেখা গেছে কুমিল্লা নগরীর বিসিক সংলগ্ন নোনাবাদ এলাকায়। অবস্থাটা এমন হয়েছে যে, নিয়মনিতীর তোয়াক্কা না করে যার যেখানে ইচ্ছে হয়েছে সেখানেই সে স্পিড ব্রেকার বসিয়েছে।
এ বিষয়ে মহিলা কাউন্সিলর উম্মে কুলসুম মুনমুন বলেন, এ রাস্তার পাশে নেই কোন স্কুল ও মাদরাসা। কেন এতগুলো স্পিড ব্রেকার দিলো তা আমার বোধগম্য নয়। আমি সরেজমিনে গিয়ে এগুলো সরানোর ব্যবস্থা করব।