আজ থেকে বহুল প্রতিক্ষিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মহাযজ্ঞ শুরু হচ্ছে। ১০ টি দল ভারতের ১০ ভেন্যুতে ৪৬ দিনে ৪৮ ম্যাচ খেলবে। আজ আহমেদাবাদে উদ্বোধনি ম্যাচে মুখোমুখি হবে গত বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। ১৯ নভেম্বর এই আহমেদাবাদেই হবে ২০২৪ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল ম্যাচ।
ভারতের কন্ডিশন ঐতিহাসিকভাবে স্পিনবান্ধব হলেও পেসাররাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। ২০১১ সালে উপমহাদেশে হওয়া সর্বশেষ বিশ্বকাপেও সেটির প্রতিফলন ঘটেছে। শীর্ষ তিন উইকেট শিকারির দুজনই ছিলেন ফাস্টবোলার। পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ২১ উইকেট নিয়েছিলেন ভারতীয় পেসার জহীর খান। ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি। ধারণা করি এবারের বিশ্বকাপেও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় পেসারদের আধিক্য থাকবে।
দেখতে দেখতে এসে গেলো বহুল প্রতিক্ষিত সেই মহেন্দ্রক্ষণ। আজ বৃহষ্পতিবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে উদ্বোধনি ম্যাচে মুখোমুখি হবে ২০১৯ বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু হবে ৭ অক্টোবর,ধর্মশালার এইচপিসিএ স্টেডিয়ামে আফগানিস্থানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। ১০ অক্টোবর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচটিও এই ধর্মশালাতেই ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচ দুটি সামনে রেখে বাংলাদেশ দল আসামের গোহাটি থেকে এরই মধ্যে হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় পৌঁছে গেছে। বিশ্বকাপের এই মহেন্দ্রক্ষণে প্রতিটি দলই তাদের শেষ সময়ের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে। সেই প্রস্তুতির ফাঁকে ফাঁকে ক্রিকেটাররা নিজ নিজ দেশের মানুষকে শোনাচ্ছেন আশাবাদের গান। দিচ্ছেন ভারতের মাটিতে ভালো কিছু উপহার দেওয়ার প্রস্তুতি। বাংলাদেশের তরুণ সদস্য তানজিদ হাসান তামিম যেমন গাইলেন আত্মবিশ্বাসের গান। হতাশা কাটিয়ে তানজিদ তামিম আত্মবিশ্বাসী হয়েছেন বিশ্বকাপের আগে খেলা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরমেন্সের মাধ্যমে।
চার বছর। লর্ডসের সেই নাটকীয় ফাইনাল। নির্ধারিত ৫০ ওভারে স্কোর সমান। সুপার ওভারেও টাই।সর্বোচ্চ বাউন্ডারি নিয়মে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড। হতাশায় মাঠ ছাড়তে হয়েছিল কিউয়ি ক্রিকেটারদের। ইংল্যান্ডের জয়ে অবিশ্বাস্য ভূমিকা রেখেছিলেন বেন স্টোকস। যিনি আবার জন্মসূত্রে একজন নিউজিল্যান্ডীয়। ওয়ান ডে ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্যাপ্টেন বেন স্টোকস। ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের জন্য অবসর ভেঙে দলে ফিরেছেন। বিশ্বকাপ থেকে বিশ্বকাপ। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের পর আর মুখোমুখি হয়নি ইংল্যান্ড -নিউজিল্যান্ড। দুই দেশই এবার ভারসাম্য পূর্ণ দল নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে এসেছে। ভয়ডরহীন ওয়ানডে ক্রিকেট দু’দলেরই অস্থিমজ্জাগত।
সাম্প্রতিক পারফরমেন্স এবং বিশ্বকাপ পূর্ববর্তী দু’টি প্রস্তুুতি ম্যাচে ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড এর ভয়ডরহীন ক্রিকেট দেখে বলা যায় আজ একটি দূর্দান্ত উদ্বোধনি ম্যাচ হবে। ম্যাচে আমি নিউজিল্যান্ডকে এগিয়ে রাখছি। গত বিশ্বকাপ ফাইনালের দূর্ভাগা নিউজিল্যান্ড আজকের ম্যাচ জয়ের মধ্য দিয়ে গত বিশ্বকাপ ফাইনালের শোক ভুলতে চাইলে অবাক হবো না।