আবু সুফিয়ান রাসেল ।। গত বছর আধুনিকায়ন করা হয়েছে কুমিল্লা ময়নামতি রেলওয়ে স্টেশনের। স্টেশনটি বহু বছর ধরে জরাজীর্ণ-অকেজো ছিলো। নগরীর জাঙ্গালিয়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের পাশের এ েেস্টশন ব্যাপক আধুনিকায়নের পরও এখনো চালু হয়নি। ফলে এখনে মাদকসেবী আর বখাটেদের আনাগোনা বেড়েই চলছে। এখানে রেল থামলে রাজস্ব বাড়বে সরকারের। উপকৃত হবে দক্ষিণ কুমিল্লার মানুষ। সঞ্চার হকে জেলার সার্বিক অর্থনীতির গতির।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ময়নামতি রেল স্টেশনের ন্যায় দেশে আরো ৬৪টি স্টেশন করা হয়েছে। যার প্রতিটিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। নতুনভাবে তৈরি করার পর ময়নামতি স্টেশনটিকে পাঁচ কক্ষ বিশিষ্ট করা হয়। কক্ষগুলোর মধ্যে রয়েছে ভিআইপি গেস্ট রুম, সাধারণ গেস্ট রুম, হলরুম, সিগন্যালিং রুম ও স্টেশন মাস্টারের কক্ষ। পাশাপাশি অনেকটা দ্বিতল ভবনের মতো দেখতে নান্দনিক ফুটওভার ব্রিজ করা হয়। এই স্টেশনটিতে আগে প্ল্যাটফর্ম ছিল না। সংস্কারের সময় নতুন করে প্ল্যাটফর্ম করা হয়। ওপরে দেওয়া হয় ছাউনি। বাংলাদেশে এমন সুন্দর ও আধুনিক স্টেশন সচরাচর চোখে পড়ে না। তাই সকাল-বিকাল দর্শনার্থীরা এই স্টেশনটিতে ঘুরতে আসছেন এখন।
সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, কুমিল্লার ময়নামতি স্টেশনগুলো আধুনিকায়ন হচ্ছে, তাতে আমি অখুশি নই। আমি অখুশি অন্য জায়গায়। যেসব স্টেশনে প্রচুর যাত্রী আছে, ওইসব স্টেশন কেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে না?
স্টেশনের পাশের গ্রাম শাকতলার বাসিন্দা রবিউল হোসেন বলেন, এখানে মাদকসেবী আর বখাটেদের আড্ডা বসে। দিনদিন অপরাধীদের
আস্তানা পরিণত হচ্ছে।
এপেক্স ক্লাব অব কুমিল্লার জুনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যক্ষ মাহফুজুর রহমান জানান, সকাল বিকাল এখানে মানুষ আসেন। অনেক আধুনিকায়ন করার পরও স্টেশনটি চালু হয়নি । এটি চালু হলে আমরা উপকৃত হবো।
নগরীর ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী মাহবুবুর রহমান জানান, এটা ব্রিটিশ আমলের স্টেশন। আন্ত:নগর রেল থামলে রাজস্ব বাড়বে সরকারের। উপকৃত হবে দক্ষিণ কুমিল্লার মানুষ। কারণ জাঙ্গালিয়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের পাশে ময়নামতি স্টেশন। কুমিল্লা ইপিজেডের ৫৫ হাজার শ্রমিক আছে । তারা যাতায়াত করবে । আর একটা স্টেশন দীর্ঘদিন পরে থাকলে নষ্ট হবে। খারাপ মানুষের যাতায়াত বাড়তে পারে।
ঊর্ধ্বতন রেলওয়ে কুমিল্লার উপসহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার জানান, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ঢাকা-চট্টগ্রাম ব্রডগেজ ডাবল লাইন প্রকল্পের আওতায় এসব স্টেশন আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ময়নামতি স্টেশনের বিষয়ে আমরা কোন বার্তা পাইনি। অবকাঠামো প্রস্তুত। সরকার যখন চাইবেন তখন চালু হবে ।