সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ ।। কুমিল্লা নগরীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে এক রোগী মাত্র ১ হাজার টাকা দিতে না পারায় তাকে হাসপাতালে আটক করে রাখেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (৩১ শে মার্চ) নগরীর ইউনাইটেড নামক একটি হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটে। এমন খবর নগরীতে ছড়িয়ে পড়ায় তাৎক্ষণিক কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সনজুর মোর্শেদের নির্দেশনায় একটি টিম হাসপাতালে যাওয়ার পরে ওই রোগীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালকবৃন্দ প্রশাসনের নিকট তাৎক্ষণিক ক্ষমা চান।
জানা যায়, কুমিল্লার বরুড়া থেকে সাইফুল (২৫) নামে এক রোগী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা নিতে ইমার্জেন্সি বিভাগে ভর্তি হন। ইমারজেন্সি বিভাগে সাইফুলের একটু উন্নতি হতে থাকলে পরিবারের লোকেরা এক দালালের খপ্পরে পড়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রোগী সাইফুলকে কুমিল্লা নগরীর টমসমব্রীজের ইউনাইটেড হসপিটালে ভর্তি করা হয়। এতে রোগী ওই হাসপাতালে ৯ ঘন্টা ভর্তি থাকার পর চলে যেতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই রগীর পরিবারের নিকট প্রায় ২২ হাজার টাকার একটি ছাড়পত্র ধরে দেন। রোগী এতো টাকার পত্র দেখে আঁতকে ওঠে। রোগী সাইফুল ও তার পরিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুনয়-বিনয় করেও এই টাকার কোনো কমতি না পাওয়াই নিরুপায় হয়ে নগরীতে তার আত্মীয়দের দারস্থ হয়। আত্মীয়দের অনুনয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ১১ হাজার টাকা নির্ধারণ করে। রোগী অতোটা স্বাবলম্বী না হওয়াতে ১ হাজার টাকা দিতে না পারায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আটকিয়ে রাখে রোগীকে।
ভুক্তভোগী সাইফুল বলেন, দালাল যখন হাসপাতালে নিয়ে আসে আমরা এতোটা বুঝতে পারিনি। এখানে এতো টাকার বিল আমাদের দিবে। হাসপাতালে দশ হাজার টাকা দেওয়ার পরেও তারা আরো টাকা চায়। হাসপাতালের মেনেজার বলে দালালকে নাকি ৫ হাজার টাকা দিতে হইছে। তাই তারা বারতি টাকা দিতে হবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সনজুর মোর্শেদ বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশ গেলে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাথে সাথে ঘটনার সমাধা করে দেয়। পরবর্তীতে রোগীকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
কুমিল্লা জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, প্রাইভেট হসপিটাল গুলোতে এমনিতে সেবার মান এতোটা ভালে নয়। তার মধ্যে রোগীদের নিকট এতো টাকা কেনো নেয়, তা ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। তবে রোগীকে টাকার জন্য আটকিয়ে রাখাটা তারা ঠিক করেনি।