মঙ্গল্বার ১৯ gvP© ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement


বুড়িচং – শাসনগাছা রোডে ভাড়া নৈরাজ্য


আমাদের কুমিল্লা .কম :
15.11.2022

মোস্তাফিজুর রহমান ।। কুমিল্লার ব্যস্ততম সড়ক শাসনগাছা টু বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়া রোড। এই রোডে প্রতিনিয়ত চলাচল করে প্রায় ২ হাজার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা। ব্যস্ততম এই সড়কে প্রতিনিয়ত চলে ভাড়া নৈরাজ্য। প্রতিবাদ করলেই নামিয়ে দেয় গাড়ি থেকে আবার অনেকের সাথে হয় হাতাহাতি। অভিভাবকহীন এই সড়কে নেই কোন নিয়ম কানুন।
বুড়িচং উপজেলার ইউএনও ভাড়া নির্ধারণ করে চ্যাট লাগিয়ে ছিলো বুড়িচং এবং শাসনগাছায় যা ২৪ ঘন্টা না যেতেই ফেলে দেয় সুবিধাভোগীরা। জিবির দোহাই দিয়ে প্রতিনিয়ত এই ভাড়া নৈরাজ্য চালাচ্ছে চালকরা। বৃহস্পতিবার এলেই ভাড়া নৈরাজ্য রূপ নেয় অস্বাভাবিক। ৩০ টাকার ভাড়া তিনটার পরে হয়ে যায় ৪০ টাকা সন্ধ্যার পরে ৫০ টাকা এশারের পরে ৬০থেকে ৮০ টাকা। ব্রাহ্মণপাড়ার ৫০ টাকার ভাড়া হয় ৭০ টাকা সন্ধ্যার পরে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এই ভাড়া নৈরাজ্যে অতিষ্ঠ সাধারণ যাত্রীরা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে একজন ড্রাইভার বলেন, আমরা দিনে ৮০ টাকা জিবি দেই। তারপর আবার সন্ধ্যার পরে ৫০ টাকা জিবি দেই । বাড়তি টাকা না নিলে আমাদের পুষবে না। জিবি না দিলে শাসনগাছা গাড়ি নিয়ে আসা যায় না। ভাড়া নৈরাজ্যে আমাদের কোন দোষ নাই ভাই। প্রশাসনকে বলেন তাদেকে ঠিক করতে । তারা ঠিক হলে আমরা নির্ধারিত ভাড়ায় যাত্রী নিতে কোন সমস্যা নাই।

শাহিন নামের এক এডভোকেট বলেন, এই রোডের ভাড়া নৈরাজ্যে আমরা অতিষ্ঠ। আমি সপ্তাহে একদিন বৃহস্পতিবারে বাড়িতে যাই। শুনেছি শাসনগাছা থেকে ব্রাহ্মনপাড়ার ভাড়া নাকি ৫০ টাকা। কিন্তু কোন দিন ৫০ টাকা দিয়ে ব্রাহ্মণপাড়া যেতে পারি নাই। বৃহস্পতিবার নাকি ভাড়া বেশি তাই নির্ধারিত ভাড়ায় কোন দিনও যেতে পারি নাই সব সময় ৭০টাকা দিয়ে যেতে হয়। আমি মনে করি প্রশাসন ঠিক থাকলে তারা কখনো ভাড়া নৈরাজ্য করতে পারতো না।
ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী তানিয়া বলেন, কি এক আজব রোডে চলাফেরা করি । সামান্য বৃষ্টি আসলেও ভাড়া বেড়ে যায়, গাড়ি কম থাকলে ভাড় বেড়ে যায়, আবার যাত্রী বেশি দেখলে ভাড়া বেড়ে যায়! আমরা স্টুডেন্ট কিন্তু আমাদের কাছ থেকেও নির্ধারিত ভাড়াটা নেয় না। প্রতিবাদ করলে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। আমরা এই রোডের সুনির্দিষ্ট একটি পদক্ষেপ চাই যাতে নির্ধারিত ভাড়ায় প্রতিনিয়ত চলাফেরা করতে পারি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বুড়িচং উপজেলার নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন বলেন, এই রোডের ভাড়া নির্ধারণ করে চ্যাট লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা দুই একদিন পর পর মোবাইল কোট পরিচালনা করি। প্রতিদিন রাস্তায় বসে থাকাতো সম্ভব না। কারো অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।