মঙ্গল্বার ১৯ gvP© ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement


কুমিল্লায় প্রাথমিক শিক্ষায় কমছে মান,ঝরছে শিক্ষার্থী


আমাদের কুমিল্লা .কম :
14.11.2022

মহিউদ্দিন মোল্লা ।। কুমিল্লা জেলায় প্রাথমিক শিক্ষায় মান কমছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। এতে প্রতি বছর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কমছে শিক্ষার্থী। এতে চিন্তিত কুমিল্লার শিক্ষা কর্মকর্তারা। এদিকে সচেতনরা মনে করছেন,শিক্ষার মান কমে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা কিন্ডারগার্টেনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চলে যাচ্ছেন।
সূত্রমতে, জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুই হাজার ১০৭টি। ২০২০সালে কুমিল্লা জেলায় শিক্ষার্থী ছিলো নয় লাখ ৬৩হাজার ৫৫২জন। তা ২০২১সালে দাঁড়ায় আট লাখ ৮১ হাজার ৪৩৯জনে। ২০২২সালে তা কমে এসে দাঁড়ায় আট লাখ ৭৫হাজার ১৪৮জনে।
সরেজমিন কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কয়েকটি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়,কিছু শিক্ষক সময় মতো আসেন না। কিছু স্কুলে শিক্ষকরা ঘুমাচ্ছেন। কেউ ব্যস্ত মাথার উকুন খোলায়। কেউ আছেন নিজেদের সন্তান পরিচর্যায় ব্যস্ত। শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো ছোটাছুটি করছেন।
সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা ইউনিয়নের একজন অভিভাবক বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় কোন শৃংখলা নেই। শিশু শ্রেণীতে অংক শেখান। পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বর্ণমালা পড়ান। কিছু শিক্ষক হয়তো মনে করেন, সরকারি স্কুলে যারা পড়ে সবাই গরিব মিসকিনের সন্তান। তাই তাদের দরদ দিয়ে পড়ানোর দরকার নেই! আমার ৫ম শ্রেণীতে পড়ুয়া সন্তান এসে বলেন, আমার বই না পড়িয়ে অ-আ পড়ান। তাই ছেলেকে কিন্ডার গার্টেনে নিয়ে এসেছি।
নগরীর এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন,শিক্ষকদের মধ্যে কিছু ফাঁকিবাজি করেন। তবে অধিকাংশ আন্তরিক। শিক্ষকদের বিভিন্ন জরিপে ব্যস্ত না রাখলে তারা পাঠদানে আরো বেশি মনোনিবেশ করতে পারবেন। এতে শিক্ষার মান আরো বাড়বে।
লাকসাম উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিক্ষার্থী কমে যাওয়া ও মান বাড়ানো নিয়ে আমরা কাজ করছি। এনিয়ে আমাদের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আশা করছি কুমিল্লার ঝিমিয়ে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন গতি আসবে।
কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি সালেহা আক্তার বলেন,আমাদের কিছু ঘাটতি আছে। সেটি পূরণে শিক্ষকদের পাঠদান বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয়। এটি একটি ভালো উদ্যোগ বলে মনে করি।