আবু সুফিয়ান রাসেল ।। কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল। একশ’ শয্যার এ সেবা কেন্দ্র সদর হাসপাতাল নামে পরিচিত।
জেলার ৫০ লক্ষাধিক মানুষের এ ভরসা স্থলে দিন রাতে চলে অনিয়ম। হাসপাতাল কর্মীরা পরিচয়পত্র ব্যবহার না করায় বাড়ছে দালালদের উৎপাত। আর দিনভর চলে রিপ্রেজেন্টেটিভদের দৌরাত্ম্য। রাতে বাড়ে বেসরকারি হাসপাতালের দালালদের তৎপরতা।
কুমিল্লার মুরাদনগরের রাবেয়া সন্তান নিয়ে সাধারণ ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন গত বুধবার। তিনি জানান, বাহিরের লোকজন প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়। সকাল ও মাগরিবের পর এসে ছেলের খবর নেয়।
বরুড়ার ঝলম এলাকার পারভীন বেগম পায়ের ব্যাথা নিয়ে বহিঃ বিভাগের ১০৮নং কক্ষে সেবা নিতে যান। তিনি জানান, তাকে মুন হসপিটালে সে ডাক্তারের নিকট পরীক্ষা করার জন্য একটি ভিজেডিং কার্ড দেওয়া হয়। একদিন পর ২৫০০ টাকায় তিনি মুন হসপিটালে এ পরীক্ষা করে, একই ডাক্তারকে রিপোর্ট দেখান।
একই চিত্র চর্ম বিভাগেও। সকল রোগীর হাতে ব্যবস্থাপত্র ও ডাক্তারের ভিজেডিং কার্ড। যার মধ্যে চেম্বারের ঠিকানা ও সিরিয়াল নম্বরের ফোন নম্বর দেওয়া আছে।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, এক জন চিকিৎসক যখন সরকারি হাসপাতালে ডিউটি করবেন, তার নির্ধারিত কর্ম ঘণ্টা সরকারের জন্য নির্ধারিত। সরকার যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা পালন করা কর্তব্য। এ সময়ে চেম্বারের ঠিকানা রোগীকে দিলে তিনি বিবেকের কাছে দায়ী থাকবেন। একই সাথে জেলা সিভিল সার্জন এ বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে পারেন।
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসেন বলেন, রিপ্রেজেন্টেটিভরা প্রতি বৃহস্পতিবার দুপুর একটার পর ডাক্তার ভিজিট করা নিয়ম থাকলেও তারা প্রতিদিন আসে। আমরা এ বিষয়ে তাদের সাথে বৈঠকও করেছি। আর দালালের বিষয়টা জিরোতে না এলেও অনেকটাই কমেছে। সুনির্দিষ্ট পেলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো। আর বহিঃবিভাগ থেকে ডাক্তারের চেম্বারের ঠিকানা প্রদানের বিষয়টি আমরা দেখবো। সংশ্লিষ্ট ডাক্তারকে সতর্ক করা হবে।