আবু সুফিয়ান রাসেল।।
অজ্ঞাত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ(কুমেক) হাসপাতালে। যাদের মধ্যে মানুসিক রোগী, বয়ো-বৃদ্ধ ও অঙ্গহীন রোগীর সংখ্যা বেশি। পরিচালক জানিয়েছেন অজ্ঞাত রোগীর চিকিৎসা ও দেখাশোনার জন্য বিশেষ লোক রয়েছে। রোগীদের ৮০ শতাংশ নারী। রবিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দায় দেখা যায় দু’জন নারী শুয়ে আছে। তাদের পৃথক প্লেটে দেওয়া হয়েছে রাতের খাবার। তবে সকালের পাউরুটি এখনো পড়ে আছে বিছানায়। তাদের একজনকে নাম কি আপনার? বাড়ি কোথায়? এসব প্রশ্ন শুনে তিনি শুধু তাকিয়ে ছিলেন। কোন উত্তর করতে পারেননি। একই ভাবে অজ্ঞাতনামা পাশের রোগীকে প্রশ্ন করলে, তিনি উত্তর দেন নাম মানে নাম। বাড়ি কোথায়? এ প্রশ্নে হাতে ইঙ্গিত করে দেখান এটা বাড়ি। খাবার দেখিয়ে বলেন, খাও। জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র জানান, অজ্ঞাত রোগী মাঝে মাঝে ভর্তি হয়। ইদানিং বেড়েছে। আবার কেউ অজ্ঞাত ভর্তি হওয়ার পর স্বজনরা বাড়ি নিয়ে যায়। আর অজ্ঞাত রোগীদের রেখে যান গাড়ি চালক অথবা কোন পথচারী। তাদের কেস স্টোরি আমাদের তেমন স্টাডি করা হয় না। দেখে যা প্রাথমিক ধারণা করি, বা পরীক্ষার পর যে ফলাফল আসে বেশির ভাগ মানুসিক রোগী। সড়কে দুর্ঘটনাজনিত রোগী আর মেডিসিন বিভাগের রোগীর সংখ্যা বেশি থাকে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন বলেন, যখন কেউ সেবার জন্য
আমার দুয়ার পর্যন্ত চলে আসে আমার নৈতিক দায়িত্ব তাকে সেবা দেওয়া। পরিচয়হীন রোগীকেও আমরা সেবা দেই। তার নাম, ঠিকানার স্থলে অজ্ঞাত লিখা থাকে। অজ্ঞাত রোগীদের মধ্যে ৮০% নারী। এ জাতীয় রোগীদের থেকে ভর্তি টিকেট পর্যন্ত নেওয়া হয় না। তাদের দেখার জন্য একজন লোক আছে শাহজাহান। সে সকাল সন্ধ্যায় তাদের খবর রাখে। ডাক্তারদেরও বলা আছে, ভিজিটে গেলে কোন রোগী যেনো সেবা বঞ্চিত না হয়। আমাদের দায়িত্বের জায়গা থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি সেবা দিতে।