আবু সুফিয়ান রাসেল ।। কুমিল্লা নগর, ১৭ উপজেলা ও মহাসড়কের পাশে অনুমোদনহীন হোটেল রেস্তোরাঁ বাড়ছে। জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, সকল হোটেল রেস্তোরাঁকে অনুমোদন দিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু হবে। অভিযোগ রয়েছে হোটেল-রেস্তোরাঁর উচ্ছিষ্ট ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে। মালিক পক্ষের দাবি সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হোটেল রেস্তোরাঁ মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ বিষয়ে ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয়।
সভায় জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা জেলার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম বলেন, ভোক্তার যে কোন অভিযোগ আমলে নিয়ে, অথবা আইনানুযায়ী যে কোন সময় আমরা অভিযান পরিচালনা করে থাকি। এ সময় খাবারের মান, মূল্য সংরক্ষণের জন্য কতৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি।
পরিবেশ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক শওকত আরা কলি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া অনুমোদনহীন হোটেল রেস্তোরাঁ বাড়ছে কুমিল্লায়। মহাসড়কের পাশে দুই শতাধিক হোটেল-রেস্তোরাঁর উচ্ছিষ্ট ফেলা হয় সড়কের পাশে বিভিন্ন জমিতে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রয়োজন।
কান্দিরপাড় হোটেল জামানের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান ভুইয়া সভায় বলেন, করোনার পর হোটেল মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। অনেকে হোটেল বিক্রি করে দিয়েছেন। ৮০ শতাংশ হলো নতুন হোটেল মালিক। এ কারণে অনুমোদন নেই। আর উচ্ছিষ্ট বা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কথা হলো কুমিল্লা সিটি করর্পোরেশন থেকে রাতে পরিষ্কার করা হয়। মহাসড়কের পাশের প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই আমরা সবাই।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শওকত ওসমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শিউলি রহমান তিন্নী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান, পরিবেশ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক শওকত আরা কলি, জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা জেলার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস, বিএসটিআই, কুমিল্লা জেলা হোটেল মালিক সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, হোটেল রেস্তোরাঁ বিষয়ে সরকারি নিদের্শনা আছে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি হোটেল রেস্তোরাঁকে অনুমোদন দিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু হবে। যেনো মালিক পক্ষের ভোগান্তি কমে।