বৃহস্পতিবার ২৮ gvP© ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement


মুরাদনগরে থামছেনা কৃষি জমির মাটি কাটা


আমাদের কুমিল্লা .কম :
12.04.2022

মোঃ তরিকুল ইসলাম তরুন : কুমিল্লার মুরাদনগরে ভেকু আর ট্রাক্টর দিয়ে তিন ফসলি জমির উর্বর মাটি ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। আর এই মাটি বহনকারী ট্রাক্টর উল্টে গত সপ্তাহে তিন শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে। সেই রেশ না কাটতেই শুরু হয় কোম্পানিগঞ্জ, নগরপাড়,গোপালনগর, সিলমপুর, মুরাদনগর, রোয়াচালা, ছালিয়াকান্দি ও দেবিদ্বার এলাকার গোমতীর চরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় চলছে মাটিকাটা। ভূমি খেকোদের রুখে দিতে না পারলে কৃষি জমি বিলীন হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।
এলাকার সাধারণ জনগণ ও কৃষকরা এবিষয়ে কুমিল্লা- ০৩ মুরাদনগরের স্থানীয় সংসদ সদস্য, দেবিদ্বার ও মুরাদনগর উপজেলা এবং থানা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ছালিয়াকান্দি বাজারের দক্ষিণ পাশে মেসার্স মনির ব্রিকস ফিল্ড নামে একটি ইটভাটা রয়েছে। প্রতিদিন ২০/২২টি ট্রাক্টর দিয়ে পাশের ফসলি জমি থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে সেই ইটভাটায় জোগান দিচ্ছে। এতে করে তিন ফসলি কৃষি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বালুর স্তুপে অন্ধকারচ্ছন্ন হচ্ছে এলাকা। মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। বেপরোয়া সিন্ডিকেটে কৃষি নির্ভর কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করাতো দূরের কথা ভয়েও মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানান, আমরা এ জমিগুলোতে বছরে তিনবার ধান চাষ করে থাকি। কৃষি কাজই আমাদের আয়ের উৎস। কিন্তু ভূমি খেকো ইটভাটার মালিকরা আমাদের এ রুটি রুজিতে আঘাত করছে। তাদের এই বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে আমরা কৃষি জমি হারাচ্ছি। যে ভাবে তারা কৃষি জমি কেটে নিচ্ছে কিছু দিনের মধ্যেই আমরা বেকার হয়ে পড়ব। প্রশাসন যদি দ্রুত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে আমাদের ফসলি জমি ড্রেজার ভেকুর নিচে বিলীন হয়ে যাবে।

ইটভাটার মালিক মনির হোসেন বলেন, কৃষি জমির মালিক লুঙ্গি জসিম উদ্দিনের কাছ থেকে ট্রাক হিসেবে আমি মাটি ক্রয় করেছি। সে হিসেবে লুঙ্গি জসিম আমার ইটভাটায় মাটি দিচ্ছে।

কৃষি জমির মালিক লুঙ্গি জসিম উদ্দিন বলেন, আমি জমি কিনে মাটি বিক্রি করেছি। আপনারা যা পারেন করেন। সকলকে ম্যানেজ করেই আমি কাজ করছি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন আহমেদ সোহাগ বলেন, এ ভাবে কৃষি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কৃষি প্রধান দেশে ভূমি খেকোরা যে ভাবে তিন ফসলি জমি বিনষ্ট করছে, তাদের এখনই লাগাম টেনে ধরতে না পারলে যেমনি উৎপাদন ব্যাহত হবে, তেমনি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত ভূমি খেকোদের বিরুদ্ধে মামলা জেল জরিমানা এবং ড্রেজিং মেশিন ধ্বংস করে আসছি।। এদিকে ছালিয়াকান্দির বিষয়ে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।