শুক্রবার ২৯ gvP© ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement
  • প্রচ্ছদ » sub lead 1 » তিতাসে সংযোগ সড়কবিহীন কালভার্ট ১০বছর ধরে মানুষের দুর্ভোগ


তিতাসে সংযোগ সড়কবিহীন কালভার্ট ১০বছর ধরে মানুষের দুর্ভোগ


আমাদের কুমিল্লা .কম :
11.04.2022

মো. মহসিন হাবিব, তিতাস : কুমিল্লার তিতাসে ১০বছর আগে একটি কালভার্ট তৈরি হলেও দুই পাশে সংযোগ সড়ক নাই। এটি এলাকাবাসীর কোন কাজে আসছে না। এতে এলাকাবাসীর মাঝে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। সংযোগস্থলে তৎকালীন এমদাদ চেয়ারম্যানের আমলে তার নিজ উদ্যোগে কিছু মাটি দিলেও সেটি বর্ষার পানির সঙ্গে চলে গেছে। কালভার্টের ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল দূরের কথা ৮/১০ টি গ্রামের জনসাধারণের চলাচলেও ভোগান্তির শেষ নেই।
জানা গেছে, ২০১২ সালে ১১ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে তিতাস উপজেলা জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের পূর্ব গোপালপুর হতে রসুলপুর গ্রামের মানুষের চলাচলের সরু রাস্তার মাঝখানে নির্জন চকে সরু খালের মধ্যে কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। কালভার্টের দুই পাশে ৮/১০ ফুট উঁচু থাকলেও দুই পাশের সংযোগে মাটি নেই।

স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। আমরা ইউনিয়ন ও উপজেলার সুযোগ-সুবিধা ও সব সেবা থেকেও বঞ্চিত। রাস্তার অভাবে ইউনিয়ন বা উপজেলা সদরে কোনো জরুরি কাজ থাকলে দ্রুত সেখানে যেতে পারি না। পার্শ^বর্তী দাউদকান্দি উপজেলা গলিয়ারচর দিয়ে নদী পার হয়ে যেতে ডাবল খরচ ও সময় গচ্ছা দিতে হয়। এমনকি ফসল পর্যন্ত পরিবহন করতে পারছি না। নামমাত্র কালভার্ট দিয়ে রাখা হলেও আমাদের কোনো উপকারে আসছে না। এ রাস্তায় বর্ষাকালে গলা পানি হয়ে যায়। তাছাড়া ধান কাটার পর পরই এ রাস্তা পানিতে তলিয়ে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। বৃষ্টি হলে তা পিচ্ছিল ও কাদায় ভরে যায়।

কালভার্ট সংলগ্ন নতুন বাড়ির মালিক জয়নাল আবেদিন (৬৫) দৈনিক আমাদের কুমিল্লাকে বলেন, কালভার্ট নির্মাণের পর পর জমি ভরাট করেছি বাড়ি করব বলে। কিন্তু ১০বছর হয়ে গেল রাস্তা হয়না স্বপ্নের বাড়িও বানানো হলনা। এই কালভার্ট আমাদের কোন উপকারেতো আসেইনি বরং ক্ষতিই হয়েছে।
পূর্ব গোপালপুর গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন জানান, এই সেতু এলাকাবাসীর কাজে আসত যদি রাস্তা থাকত, যে খালের উপর কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে সে খাল তেমন গভীর নয়। আমরা খালের উপর দুইটা বাঁশ পেতে অনায়াসেই বোঝা নিয়ে যেতে পারতাম। কিন্তু এইটি উঁচু হওয়ায় বোঝা নিয়ে উঠতে অনেক কষ্ট হয়। রাস্তা থাকলে হয়তোবা এমনটি হতোনা।
স্থানীয় আনোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, লাখ লাখ টাকা খরচ করে এখানে সেতু করেছে কিন্তু সেতুর দুপাশে রাস্তা না থাকায় তা আমাদের কোনো উপকারে আসছে না।
এ ব্যাপারে জিয়ারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আশ্রাফ বলেন, কালভার্ট হলেও দুর্ভাগাবশত রাস্তাটা হয়নি। আমি রসুলপুর হতে বড় একটি রাস্তার লিস্ট দিয়েছি। আশা করি এটি হবে ইনশাআল্লাহ। রাস্তা না হওয়ায় সেতুটি অকেজো হয়ে আছে। কিন্তু আমি আশাবাদী এবার ভাল কিছু হবে।
তিতাস উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আহসান উল্লাহ বলেন, এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেন। এই কালভার্টের বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই। যেহেতু আমার আমলে তা হয়নি।