শুক্রবার ১৯ GwcÖj ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement


সীনাই খাল পুনঃখননে সাত হাজার কৃষকের মুখে হাসি


আমাদের কুমিল্লা .কম :
03.04.2022

স্টাফ রিপোর্টার ।। বিএডিসির কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় অবস্থিত পুন:খননকৃত সীনাই খালের উদ্বোধন করা হয়। খালটি পুনঃখননে হাসি ফুটেছে সাত হাজারের বেশি কৃষকের মুখে। শুক্রবার সীনাই খাল পুন:খনন উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম, বিএডিসি চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ। সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
বিএডিসি’র স্থানীয় কর্মকর্তা ও প্রকল্প দপ্তরের তথ্যমতে, সীনাই খালটি প্রায় ৩ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৪.৫০ কিলোমিটার খাল পুন:খনন করা হয়েছে। সীনাই খালটি মূলত ভারতের আগরতলা জেলার আমতলী সীমান্ত হতে শুরু হয়ে কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাজিয়াতলি, সুতারমুরা, রামপুর, গোসাইস্থল, বাড়াই, চন্ডিদ্বার মৌজা হয়ে এবং বিনাউটি ইউনিয়নের ব্রাক্ষণগ্রাম, নেমতাবাদ মৌজা হয়ে মজলিশপুর বিজনা নদীতে মিলিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের সাথে নেমে আসা পলি জমে খালটি ভরাট হয়ে মৃতপ্রায় হয়েছিল। উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পানির ঢলে খালটির আশেপাশের এলাকা বছরে ২/৩ দফায় হঠাৎ বন্যায় প্লাবিত হতো। এতে সীনাই খালের দুই পাড়ের ফসল নষ্ট হয়ে যেতো। অপরদিকে শুস্ক ও সেচ মৌসুমে খালে পানি না থাকায় কৃষকরা বেকায়দায় পড়তো। এই খাল পুন:খননের ফলে খালের দুই পাড়ের প্রায় ৬২৫০ একর জমি এক/দুই ফসলি জমি হতে তিন ফসলি হয়েছে। পূর্বে যেখানে বছরে ১৫০০০ মেট্টিক টন খাদ্যশস্য উৎপন্ন হতো খাল পুনঃননের ফলে সেখানে প্রায় ৩০০০০ মেট্টিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন সম্ভব হবে। প্রায় ৭১১০টি কৃষক পরিবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেন, কৃষি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সে স্বপ্ন পূরণে কাজ করছেন। এই খাল খননের মাধ্যমে কসবার মানুষের উপকার হয়েছে।
কৃষি সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু যেমনটি মনে করতেন কৃষি এবং কৃষকের উন্নতি হলে এদেশের উন্নতি হবে তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও সেটাই মনে করেন।
বিএডিসি’র চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ বলেন, বর্তমান সরকার সেচের ক্ষেত্রে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারে গুরুত্ব দিয়েছে। ভূপরিস্থ সেচের পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধিতে ভরাট হয়ে যাওয়া খালসমুহ পুন:খননের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
কুমিল্লা (ক্ষুদ্রসেচ) সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে অনুশাসন রয়েছে দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে সে নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছে বিএডিসি।