স্টাফ রিপোর্টার ।। কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার নরিন্দ গ্রামে তিন শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় বেরিয়ে এসেছে কাঠমিস্ত্রি ধর্ষক আলী আকবের লোমহর্ষক পরিকল্পনার কথা। এদিকে এই ঘটনায় বরুড়া থানায় দুইটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন তিন শিশুর পরিবারের স্বজনরা।
শিশুদের স্বজন ও মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত স্থানীয় কাঠমিস্ত্রি আলী আকবরের দুই নাতনি নরিন্দ মাদ্রাসাতে পড়তো। ভুক্তভোগী শিশুরা সেই সুবাদে প্রতিদিন বিকেলে তার বাড়িতে যাতায়াত করতো। আলী আকবর ধর্ষণের অন্তত এক মাস আগ থেকেই শিশুদের প্রতিদিন ১০ টাকা করে দিতো। ১৯ মার্চ আলী আকবর বাড়িতে একা ছিলেন। সেদিন তিনি একজন শিশুকে ধর্ষণ করে ১০ টাকা দিয়ে পাঠিয়ে দেন। ২০ মার্চ বিকেলে বাকি দুই শিশুকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরদিন শিক্ষার্থীরা বাড়ি গিয়ে তাদের স্বজনদের ঘটনার বিষয়ে জানায়।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, মাদ্রাসায় প্রায় সাড়ে তিনশ’ শিক্ষার্থী আছে। গেইটের বাইরে শিক্ষার্থীদের যেতে দেয়ার অনুমতি নেই। কিন্তু তারা ছোট তাই তারা মাদরাসার সামনের একটা মাঠে প্রতিদিন খেলাধুলা করে। স্বজনরা ঘটনার বিষয়ে আমাদের নিকট অভিযোগ দেন। আমরা থানায় গিয়ে অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেই। এই ঘটনার কঠিন বিচার দাবি করছি।
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, তিন শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার রাতে দুইটি মামলা দায়ের করেছেন দুই পরিবারের স্বজনরা। মামলায় ওই গ্রামের আলী আকবরকে(৫৫) আসামি করা হয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগীদের মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের নরিন্দ গ্রামের দুই পরিবারের তিন শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। তারা সম্পর্কে একই বাড়ির দুই পরিবারের চাচাতো বোন। নরিন্দ গ্রামের মিজবাহুল উলুম মহিলা ও নূরানী মাদরাসার শিক্ষার্থীরা মাঠে প্রতিদিন খেলাধুলা করতো। মাদরাসার পাশে আলী আকবরের বাড়ি। গত ১৯ ও ২০ মার্চ শিশুরা তার বাড়ির আশপাশে ঘুরতে যায়। এসময় তাদেরকে চকলেট ও ১০ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুরা বাড়িতে এসে স্বজনদের জানায়। এ ঘটনা জানাজানির পর থেকে আলী আকবর পলাতক রয়েছে।