রুবেল মজুমদার ।। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় রোববার থেকে ‘এক কোটি পরিবারের’ কাছে কম দামে পণ্য বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। রমজানের আগে ও রমজানের মধ্যে দুই দফায় ফ্যামিলি কার্ডে মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
সারাদেশের ন্যায়ে কুমিল্লায় সয়াবিন তেল,মসুরের ডাল ও চিনি বিক্রির মাধ্যমে রবিবার থেকে শুরু হলো ফ্যামিলি কার্ডে টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) পণ্য বিক্রি। জেলায় মোট দুই ধাপে ২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৭২৪ জন এর মধ্যে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৫৩ হাজার ২২৮ জন জন ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি পণ্যের ভর্তুকি মূল্যে পণ্য কেনার সুবিধা ভোগ করবেন। জেলার ১৭টি উপজেলার, ৮টি পৌরসভা ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার ২৩টি স্পটে এ পণ্য বিক্রি করা হবে। ১১৭ জন ডিলারের মাধ্যমে এসব পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলছে। চলবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম ।
রবিবার সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। তিনি বলেন ,পণ্য বিতরণে কোন অনিয়ম হলে অথবা পণ্যের দাম বেশি নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিবার প্রতি ৬কেজি পণ্য ও রমজানে ২ কেজি বাড়িয়ে ৮ কেজি পণ্য ক্রয় করতে পারবেন এ কার্ডধারীরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,সকাল ১২ টায় কুমিল্লা নগরীর ছোটরা এলাকায় ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মাসুদের তত্ত্বাবধানে ৮৪৫ কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে চিনি সয়াবিন তেল, মশুর ডাল বিতরণ করা হয়।
প্রথমদিনে নগরীতে বেশ কয়েকটি স্থানে কম দামে টিসিবির পণ্য কিনতে উপচেপড়া ভিড় দেখায় গিয়েছে। টিসিবির পণ্য নিতে আসা চকবাজার এলাকার বাসিন্দা মামুন ও তফুরা বেগম বলেন, ‘যেভোবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে ,আমগো মতো মানুষ কষ্টের মাঝে দিন পার করছি। রোজার আগে কম দামে তেল, চিনি, ডাল কিনতে পেরে অনেকটাই খুশি ’এভাবে যদি নিয়মিত কম দামে পণ্য দেওয়া হয় তাহলে আমাদের মতো গরিব মানুষ খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবে।’
জানা যায়, একটি কার্ডের বিপরীতে দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি চিনি ও দুই কেজি মসুরের ডাল যথাক্রমে ২২০, ১১০ এবং ১৩০ টাকা মোট ৪৬০ টাকার প্যাকেজে বিক্রি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন অব কুমিল্লার অফিস প্রধান মো, সোহেল রানা বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিদের্শনা আমরা সমগ্র জেলা ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যমে বিতরণ করছি। আগামী ১০দিন আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। ২য় ধাপে যুক্ত হবে পরিবার প্রতি ৬ কেজি ছোলা ।