স্টাফ রিপোর্টার।।
পুলিশের করা ধর্ম অবমাননার মামলায় ইকবালসহ চার আসামিকে কুমিল্লা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সিআইডি। বুধবার তাদের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তৃতীয় দফায় পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে সিআইডি। অধিকতর তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃতীয় দফায় তাদের আরো ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে সংস্থাটি। আদালত আসামিদের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তবে আসামিদের এখনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হচ্ছে না। গত দুই দফায় প্রাপ্ত সকল তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে তাদেরকে এই তিনদিনের রিমান্ডে নেবে সিআইডি। কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক চন্দন কান্তি নাথের আদালতে তাদেরকে তোলা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডি, কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান।
ইকবাল হোসেন ছাড়া অন্য তিনজন হলেন ঘটনার দিন ৯৯৯-এ কল করা মো.ইকরাম হোসেন, পূজামণ্ডপের কাছের শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরী (রা.)-এর মাজার ও মসজিদের সহকারী খাদেম হিসেবে পরিচিত মো.হুমায়ুন কবির ও মো.ফয়সাল আহমেদ।
বিশেষ পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান জানান, প্রথম দফায় সাতদিন এবং দ্বিতীয় দফায় পাঁচদিন করে ওই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তৃতীয় দফায় আরও ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা আদালতকে জানিয়েছি এই তিনদিনে আমার পূর্বে পাওয়া সকল তথ্য যাচাই-বাছাই সম্ভব হবে না। যার কারণে আগের সকল তথ্য যাচাই-বাছাই শেষ হলেই তাদেরকে এই তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপূজা চলাকালে গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘির পাড়ের ওই পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ পাওয়ার অভিযোগ উঠে। এনিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে উত্তজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইকবাল মণ্ডপে কোরআন রাখার কথা স্বীকার করেছে। এখন আইন শৃংখলা বাহিনী তাদের থেকে ইন্ধনদাতার নাম বের করার চেষ্টা করছে।