চান্দিনা প্রতিনিধি
মাদ্রাসা ছাত্রী সালমা আক্তার (১৪) হত্যাকান্ডের পর ঘাতক বাবাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে গেলে বাদি ও সাক্ষীদের কথায় পার্থক্য খুঁজে পায় পুলিশ।
এদিকে এজাহারভুক্ত সাক্ষী না হয়েও সাক্ষী দিতে চায় বসন্তপুর গ্রামের মৃত অলি মিয়ার ছেলে মো. খলিল। সেখানেই বাঁধে বিপত্তি। এরপর সন্দেহ ঘনিভূত হয় পুলিশের।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন- ‘বাবা মেয়েকে নৃশংস ভাবে হত্যা করতে পারে এটা কেউই বিশ্বাস করবে না। এমন ধারণা নিয়ে মেয়েটিকে শ্বাস রোধে হত্যার পর তার লাশের সাথে নৃশংসতা চালায় হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা।’
তিনি আরও বলেন- আইনের চোখ ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে তারা। মামলায় উল্লেখ করা হয় ১ অক্টোবর ঘটনার রাতে তারা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। অন্যত্র ঘুমিয়ে ছিলেন। সন্দেহের তীর ঘনিভূত হলে আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের মোবাইল ট্রেকিং করি। এতে দেখা যায় পুলিশ যা সন্দেহ করেছিল তাই ঘটেছে। হত্যার সাথে জড়িতরা ১ অক্টোবর সারা রাত একে অপরের সাথে কথা বলেছে। ওই সূত্রধরে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমেই হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়।
তিনি বলেন- হত্যার সাথে জড়িত ২জনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। মেয়েটির পিতা পুলিশি নজরদারিতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথেও আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। রোগীর ছাড়পত্র দেওয়া হলেই আমরা তাকে গ্রেফতার করবো। অপর আসামীরা পলাতক রয়েছে। আমরা গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।