মঙ্গল্বার ১৯ gvP© ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement
  • প্রচ্ছদ » sub lead 3 » সেশনজট নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করায় কুবির ৪০ শিক্ষার্থীকে শোকজ


সেশনজট নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করায় কুবির ৪০ শিক্ষার্থীকে শোকজ


আমাদের কুমিল্লা .কম :
20.09.2021

শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের সব শিক্ষার্থীকে বিভাগ হতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। রোববার পরীক্ষা শেষে ৪০ শিক্ষার্থীকে বিভাগীয় প্রধান স্বাক্ষরিত এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে শিক্ষার্থীদেরকে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের দাবি বিভাগের সেশনজট নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করায় এবং পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলনে যাওয়ায় এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছে শিক্ষার্থীরা।

বিভাগীয় প্রধান মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, আপনারা বিভাগীয় ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা গত ১ সেপ্টেম্বর তারিখ ও তৎপরবর্তী সময়ে অনলাইন প্লাটফর্ম এবং ফেইসবুকে বিভাগ ও বিভাগীয় শিক্ষকদের নিয়ে নানা ধরণের কটুক্তি ও বিব্রতকর মন্তব্য করেছেন। এমন কি শিক্ষকের সাথে আপনাদের একাডেমিক আভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ভাষ্য উন্মুক্তভাবে উপস্থাপন এবং স্কিনশট শেয়ার করে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এটি আপনারা করতে পারেন কিনা সে বিষয়ে বিভাগ জানতে চায়। তথাপি আপনাদের এধরনের অশোভন আচরণে বিভাগ মর্মাহত। তাছাড়া বিভাগীয় একাডেমিক বিষয় নিয়ে আপনারা বিভাগীয় ছাত্র-উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধানের সাথে আলোচনা ব্যতিরেকে বিভাগের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও সরাসরি উপাচার্য মহোদয়ের স্মরণাপন্ন হয়েছেন। আপনাদের এ ধরণের আচরণ বিভাগীয় শৃঙ্খলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধিকে লঙ্ঘন করেছে। এ বিষয়ের প্রেক্ষিতে আপনাদের সাম্প্রতিক অনাকাঙ্খিত কর্মকান্ডের জন্য বিভাগীয় একাডেমিক সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হলো।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই ব্যাচের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা স্যার বা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। আমরা শুধুৃ সেশনজট থেকে মুক্তি পাবার জন্য পরীক্ষা নিতেই ফেইসবুকে লিখেছিলাম।

এবিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, সেশন জ্যাম নিয়ে ছাত্ররা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে তা নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয় কিন্তু এটাকে প্রেক্ষিত করে কোনো শিক্ষককে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করলে সে শিক্ষক এবং বিভাগ ছোট হয়। বিভাগ জবাব দেবে কেন পরীক্ষা নিতে পারছেনা, এটাতো উপাচার্য মহোদয় জবাব দিতে পারবেনা।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, আমি এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আটকে থাকা পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা শুরুর ঘোষণা দেন। সে আন্দোলনে অন্য শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা ও অংশ নেয়। এই বিভাগের উক্ত ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ভয়াবহ সেশনজটের কবলে রয়েছে।