মঙ্গল্বার ১৯ gvP© ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement


নদী ভাঙনে পাল্টে যাচ্ছে নবীনগরের মানচিত্র


আমাদের কুমিল্লা .কম :
17.09.2021

সঞ্জয় সাহা, নবীনগর।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রমত্তা মেঘনার প্রবল ভাঙনের খেলা চলছে প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে। উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের কেদারখোলা গ্রামের ১,২ নং সিটে থাকা চারশত পরিবারের ঘরবাড়ি, পাঁচটি মসজিদ,চারটি কবরস্থান, একটি ঈদগাহ,কেদারখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ শতশত বিঘা ফসলি জমিজমা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। পাল্টে যাচ্ছে গ্রামের মানচিত্র ।
প্রতিবছর শতশত কৃষিজমি, বাড়িঘর গ্রাস করছে সর্বনাশী মেঘনা। ফলে বাড়ছে উদ্বাস্তু ও ছিন্নমূলের সংখ্যা। মেঘনার ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে যাযাবরী জীবনযাপন করছে অসংখ্য পরিবার। অব্যাহত এ ভাঙনের ফলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কেদারখোলা গ্রামটি মেঘনাগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কেদারখোলার পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ঝুকির মধ্যে রয়েছে একটি কবরস্থান, একটি মসজিদ ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ গ্রামের শতশত ঘরবাড়ি,ফসলি জমিজমা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী ভাঙনরোধকল্পে ৪৫০ মিটার জায়গাতে জিও ব্যাগ দিয়েছে, বাকি অংশটুকুতে জিও ব্যাগ না থাকার কারণে অসংখ্য বাড়িঘর ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
কেদারখোলা গ্রামের বাসিন্দা ডাক্তার ওয়ালী আহমেদ জানান,আমাদের গ্রামটি বালু মাটির ওপর নদীর পাড়ে,বর্ষা মৌসুমে পানির স্রোত মাটির নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে বালু সরে এ ভাঙনের ভয়াবহতা চরম আকার ধারণ করে। চোখের পলকে কয়েক একর জায়গা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তখন নিরুপায় হয়ে সৃষ্টিকর্তার মুখপানে চেয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।
গ্রামের বাসিন্দা মো. লিল মিয়া বলেন, আমরা অসহায় মানূষ আমরা বাঁচতে চায়। এবাদুল করিম বুলবুল এমপি ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে দাবি করছি, দ্রুত আমাদের কেদারখোলা গ্রামে একটি স্থায়ী বাঁধ করে দিয়ে আমাদের বাঁচান।
ওই গ্রামের বয়োবৃদ্ধ হুরন মিয়া জানান, এ পর্যন্ত তিনবার বাড়ি ঘর হারিয়েছি, এখন আমি বাস্তুহারা, আমার জমিজমা,বাড়িঘর সব কিছুই রাক্ষুসে মেঘনার পেটে চলে গেছে।কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, মরণের আগে যদি ভাঙন প্রতিরোধ বাঁধ দেখে যেতে পারতাম, তা হলে মরেও শান্তি পেতাম।
বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী কবির আহমেদ বলেন, এভাবে মেঘনার ভাঙন অব্যাহত থাকলে কেদার খোলা গ্রামটি মানচিত্র থেকে সম্পূর্ণ হারিয়ে যাবে। নদী ভাঙন রোধকল্পে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করার জন্য এবাদুল করিম বুলবুল এমপি ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে জোরালো দাবি করছি।