আবদুল্লাহ আল মারুফ।।
শিক্ষার্থীদের স্কেলে লেখা আছে মাদক সেবনের ফলে স্মরণশক্তি ও মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা নষ্ট করে, আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যায়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়, মতিভ্রম হয়, ফুসফুস ও হার্টে প্রদাহ হয় ইত্যাদি। সাথে আছে জ্যামিতি বক্স। মাদক অধিদপ্তর কুমিল্লার আয়োজনে কুমিল্লার ছয়’শ শিক্ষার্থী পেল মাদক সেবনের ক্ষতিকর প্রভাব লেখা স্কেল ও জ্যামিতি বক্স।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুমিল্লা সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার গুলবাগিচা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীদের মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব লেখা সম্বলিত জ্যামিতি বক্স ও ডিজিটাল স্কেল বিতরণ করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুন নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমা আশরাফী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এবং উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার জহিরুল ইসলাম শাওন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে আমার পণ কবিতাটি আবৃত্তি করে শুনান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের সাথে কুশলাদি বিনিময় করে প্রেরণাদায়ী বক্তব্য প্রদান করেন এবং এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।
সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকবৃন্দদের মাঝে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুমিল্লার পক্ষ থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করা হয়।