মঙ্গল্বার ১৯ gvP© ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement


কুমেক হাসপাতালের ২০০ ডাক্তারের ২৬জন পেলেন প্রণোদনা!


আমাদের কুমিল্লা .কম :
12.09.2021

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল(কুমেক) এর কোভিড ইউনিটে ডিউটি করা ২০০ জন ডাক্তারের মধ্যে মাত্র ২৬ জন প্রণোদনার টাকা পেয়েছেন। বাকি ডাক্তাররা এখনও পাননি প্রণোদনার অর্থ। এনিয়ে হাসপাতালের ডাক্তারদের মধ্যে ক্ষোভ কাজ করছে।
সূত্র জানায়, প্রণোদনার অর্থ পাওয়াদের বেশিরভাগ সিনিয়র ডাক্তার। জুনিয়ররা বিশেষ করে ৩৯তম বিসিএসের মাধ্যমে সরাসরি কোভিড ইউনিটে যোগদান করা ডাক্তারদের কেউই প্রণোদনার অর্থ পাননি। বিষয়টি বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা।
সূত্রমতে, কোভিড ইউনিটের ডাক্তাররা মাসে ১৫ দিন ডিউটি করেন, ১৫দিন কোয়ারেন্টিনে থাকেন। প্রতিদিনের টিএ-ডিএ বাবদ ওইসকল ডাক্তারকে ১৮০০টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত এ টাকা পাননি কেউ।
জানা যায়, কোভিড ইউনিটে ডিউটি করতে গিয়ে অনেক ডাক্তার আক্রান্ত হয়েছেন। অনেক ডাক্তার আক্রান্ত হয়ে তাদের স্বজনদের আক্রান্ত করেছেন। এক ডাক্তারের বাবা-মাও মারা যান করোনায়। ৩জুন থেকে নিয়মিত ডিউটি করে যাচ্ছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক একাধিক ডাক্তার বলেন, ‘বারবার এ বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালকসহ অন্যান্যদের জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা ব্যবস্থা নেননি। আমাদের কোনও প্রকার স্বীকৃতিও দেওয়া হয়নি। জীবনের ঝুঁকি, পরিবারকে ঝুঁকিতে ফেলে ডিউটি করেছি, কিন্তু আমাদের কথা কেউ ভাবেনি। ঝড়বৃষ্টি মাথায় করে করোনার ভয়াবহ খারাপ পরিস্থিতিতেও কাজ করে যাচ্ছি আমরা।’
স্বাচিপ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম জানান, ‘এটা প্রক্রিয়াধীন আছে। মন্ত্রণালয় থেকে রিভিউ চাওয়া হয়েছিল, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা পাঠিয়েছেন।’
বিএমএ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা. আতাউর রহমান জসিম বলেন, ‘সিনিয়র ডাক্তারদের অনেক অর্থ আছে, তাদের উপার্জনের আলাদা পথও আছে। কিন্তু জুনিয়রদের নির্দিষ্ট বেতনে চলতে হয়। তাদের অসুস্থ বাবা আছেন, ঘরে স্ত্রী-সন্তান আছে। তাদের বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা করা দরকার। সবার নামই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমার ধারণা, কোনো ভুলের কারণে তাদের প্রণোদনা আটকে গেছে।’
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিন বলেন,‘ ২৬ জন ছাড়া কেউই প্রণোদনার টাকা পাননি। এটা মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। আমাদের এতে হাত নেই। যেহেতু সবার নাম পাঠানো হয়েছে, সবাই টাকা পাবেন।’
কুমিল্লার সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসেন বলেন,‘সবার নাম পাঠানো হয়েছে। এটার নির্দিষ্ট প্রসেস আছে। প্রসেসের মাধ্যমেই সবাই বরাদ্দ পাবেন।’