মো. রিফাত আন্-নূর ভূঁইয়া
আমি একটা অদ্ভুত কথা বলি। কথাটি শুনতে হাস্যকর মনে হতে পারে। মাতৃত্ব টা কেন নারী জাতিকে দেওয়া হয়েছে..?
পুরুষ জাতিকে দেওয়া যেতে পারতো না? সেটা কি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষে কঠিন কিছু ছিলো।দিতে পারতেন না তিনি।কেনো নারী জাতিকে দেওয়া হয়েছে? কারণ সন্তানের মর্মটা নারী জাতিই বুঝবে।পুরুষ জাতি বুঝবে না।কতটা পারবেন আপনাকে সহ্য করতে,খুব কম।অফিস থেকে আপনি যখন বাড়িতে ফিরলেন।ক্লান্তির একটা চিহ্ন আপনার চোখে। ঠিক সেই মুহূর্তে আপনার প্রিয় বাচ্চাটা আপনার কোলে এসে ঝাঁপ দিয়ে বসলো। কি বলবেন আপনি তখন.? সর,এখান থেকে!!! আমি অফিস থেকে এসেছি, বেয়াদব একটা ছেলে। কিছুই বুঝতে চায় না,লেখাপড়া বাদ দিয়ে একদম ইয়ের মধ্যে চলে এসেছে। যা এখান থেকে, সর। হয়তোবা ঠাসিয়ে একটা চড় লাগিয়ে দিলেন।কিন্তু কখনো কি আপনার সহধর্মিণী এই কাজটা করবে..? কখনোই না জন্মের পর কোলে নিয়ে ৫ মিনিট কান্না সহ্য করতে?সম্ভব না ওরে নেও তো,এইটারে তুমি থামাও। আমি পারতেছি না শুধু শুধুই কান্না করে।এত কান্না করার কি আছে।ওলে বাবা,ওলে বাবা বললেই কি সব ঠিক হয়ে যায়।আদৌ এটা সম্ভব।
সেই মাই সন্তানকে তার কোলের উপর নিয়ে শরীরের সব বর্জ্য পদার্থ যখন আপনার প্রিয় সন্তানটি ত্যাগ করছে। সেই বর্জ্য পদার্থগুলো পর্যন্ত মা অকপটে পরিষ্কার করে যাচ্ছে। সেই বর্জ্য পদার্থের উপর মা নিজে শুয়ে অন্য পাশে শুকনো জায়গায় রেখে দিচ্ছে তার সন্তানকে। ওই দিকে রান্না করা ভাত পুড়ে যাচ্ছে সন্তান এদিকে কান্না।দৌড়ে এসে সন্তানের কান্না থামিয়ে আবার দৌড়ে ওখানটাতে যেতে হচ্ছে।
আমরা কতটুকু দিতে পারি সেই নারী জাতিকে মর্যাদা। খুব বাজে ভাবে ল্যাঙ্গুয়েজ করি একটা নারীকে দেখলে।আমরা একটা ধ্যানধারণা থেকে এখন পর্যন্ত বের হয়ে আসতে পারিনি।। আমার কাছে মনে হয় স্পেসিফিক্যালি বাংলাদেশের অনেক অনেক মানুষ এখন পর্যন্ত বের হয়ে আসতে পারিনি। পৃথিবীর কথা নাই বললাম।এখন পর্যন্ত তাদের কাছে সহধর্মিণী মানে ভোগের পন্য।যাকে সে দেনমোহরের কিছু টাকা দিয়ে কিংবা সামথিং লাইক দ্যাট তিন কবুলের বন্ধনে বেধে নিয়ে ভোগ করার জন্য আজীবনের দাসী বানিয়ে নিয়েছে।সেই মানুষ যারা তাকে দাসী মনে করে এখনো পর্যন্ত। এটা ভালো কিছু নয়।খুব বেশিরভাগ পুরুষই কখনো একটা নারীর মন বুঝতে চায় না।আমরা দেখতে চাই শারীরিক গঠন, দৈহিক স্টাকচার।যা আমাদের অনেক বেশি আনন্দিত করে।কখনো কি আমরা মন খুজতে চেয়েছি? আমরা অকপটে বিভিন্ন শব্দ উচ্চারণ করি।
শি ইজ ড্যাম ডট ডট ডট. ওই দেখ একটা (ম দিয়ে একটা আকার তারপর একটা ডট) যাচ্ছে। ওই দেখ মেয়েটা( খ দিয়ে একটা আকার মাঝখানে একটা ডট পরে আরেকটা ডট) যাচ্ছে। এইসব উচ্চারণ করি।কতটুকু নিম্নমান মানসিকতার মানুষ আমরা। একটা নারী কি কখনো কোনো পুরুষ কে দেখে বলছে ওই দেখ ডট ডট ডট যাচ্ছে। সত্যিকার অর্থে আমরা একটা নারীর দিকে যে দৃষ্টিকোণ দিয়ে তাকাই একটা নারী কখনো একটা পুরুষ এর দিকে সেই দৃষ্টিকোণ দিয়ে তাকায়? স্পেসিফিক্যালি আমার কাছে মনে হয় কোনো স্ত্রী ও তার স্বামীর প্রতি সেই মানসিকতা দ্বারা তাকায় না।
আমরা বলি না নারী পুরুষের সমানাধিকার।তাহলে নারীদের জন্য বাসের ভিতরে ৬টা সিট কেন বরাদ্দ, ৮সিট কেনো বরাদ্দ। আরে বাবা পুরুষের জন্য ৯০ টা সিট বরাদ্দ,১০% নারীদের জন্য হলেই সমস্যা। কোথায় সমানাধিকার? স্পেসিফিক্যালি নারীদের জন্য এই সিট গুলো বরাদ্দ থাকবে কেনো? কেনো লেখা থাকবে এই সিট গুলো নারীদের? আমি জিজ্ঞেস করবো না এটা কি নারীদের মানসিকতা নাকি মা জাতির উপহার।আমি কৃতজ্ঞ সেই মায়ের প্রতি মায়ের মানসিকতার প্রতি।আসলে বাস্তবতা টা হলো গিয়ে আমরা পরিবর্তনশীল। পৃথিবীতে সবচেয়ে সহজ ও স্বাধীন কাজ হলো চিন্তা করা।। লাস্ট কথা,আমরা আমাদের মানসিকতাটাকে পরিবর্তন করে সুন্দরভাবে বাচবো।।