আবদুল্লাহ আল মারুফ।।
অটোরিকশা চালকের গন্তব্যের নাম ধরে হাঁকডাক, দুই অটোরিকশার পাল্লাপাল্লি, ট্রাফিক সিগন্যালে অপেক্ষা, ফুটপাতজুড়ে ছুটে চলা মানুষের ভিড় অথবা যাত্রীদের গন্তব্যে যাওয়ার অপেক্ষা। সব মিলিয়ে চেনা রূপে ফিরেছে কুমিল্লা নগরী। টানা ১৯দিন পর শিথিল হলো বিধিনিষেধ। বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। চালু হয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে গত ১ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ শুরু হয়। তবে ঈদ উপলক্ষে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবারও বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়। পরে তা আরেক দফা বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়। যা বুধবার সকাল থেকে শিথিল করা হয়। বুধবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিধিনিষেধের আগে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কুমিল্লায় তুলনামূলক কম সংখ্যক যানবাহন চলাচল করছে। তবে একই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা বিশ^রোড অংশে যানবহনের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। আবার নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী সড়কে অর্ধেক সংখ্যক বাস চলাচল করায় সকালে শহরের বাইরে যাওয়ার যাত্রিরা পড়েছিলেন বিপাকে। এছাড়া সড়কে ব্যাপক সংখ্যক সিএনজিচালিত অটোরিকশাও চলাচল করতে দেখা গেছে।
নগরীর চৌধুরী পাড়ার শাহ আলম নামের এক বেসরকারি চাকুরিজীবী বলেন, আমি শহরের বাইরের এক যেতে হবে। সকালে বেরও হয়েছি। কিন্তু কান্দির পাড়ের জ্যামে আটকে ছিলাম প্রায় আধাঘণ্টা। এছাড়াও আরও জায়গায় তো আটকা ছিলামই।
নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সড়কে আগের তুলনায় মানুষের চাপ অনেক বেশি। যার কারণে অনেক স্থানে যানজট সৃষ্টি হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে বিধিনিষেধ শিথিল কার্যকর হয়েছে। যার ফলে বুধবার সকাল থেকে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। এছাড়া নির্দেশনা অনুযায়ী শপিংমল, মার্কেট ও দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা রাখা যাবে। শিল্প-কারখানা চালু থাকবে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।