শুক্রবার ২৯ gvP© ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement
  • প্রচ্ছদ » sub lead 2 » অবসরে গেলেন কুমিল্লা ডিপিইও অফিসের প্রাণ হারুন-অর-রশিদ


অবসরে গেলেন কুমিল্লা ডিপিইও অফিসের প্রাণ হারুন-অর-রশিদ


আমাদের কুমিল্লা .কম :
30.06.2021

স্টাফ রিপোর্টার।।
দীর্ঘ ৪০ বছরের কর্মজীবন থেকে ৩০ জুন’২০২১ তারিখে অবসর গ্রহণ করলেন কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা(ডিপিইও) অফিসের প্রধান সহকারী আলহাজ্ব মো. হারুন-অর-রশিদ। তিনি ১৯৮১ সালে ২ জুলাই সরকারি চাকরিতে যোগদানের মধ্য দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে ‘‘ইউনিয়ন সমাজকর্মী’’ পদে ১ম যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে প্রধান সহকারী পদে নিয়োগ পেয়ে পূর্বপদের চাকুরি ছেড়ে বর্তমান পদে যোগদান করেন। সদা- সর্বদা কাজ পাগল এ মানুষটি জীবনের ৪০ টি বছর কর্মব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে সৎভাবে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ তথা দেশের সেবা করে গেছেন।
১৯৬২ সালে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার ৭নং গলিয়ারা ইউনিয়নের অন্তর্গত রাজাপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। ১৯৭৮ সালে কালী বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে এসএসসি, ১৯৮০সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি,১৯৮২সালে একই কলেজ থেকে বি.কম. এবং ২০০৬ সালে সিলেট মেট্রোপলিটন ল’ কলেজ হতে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার বাবা ছিলেন সরকারি চাকুরে। ৫ ভাই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। ব্যক্তিগত জীবনে সৎ, কর্মঠ ও নিষ্ঠাবান এ মানুষটি ২ কন্যা সন্তানের জনক। তার ১ম সন্তান ডাঃ উম্মে সালমা উর্মি ২০২০ সনে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ২য় সন্তান কুমিল্লা ময়নামতি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ৫ম বর্ষের ছাত্রী।
আলহাজ্ব মো, হারুন অর রশিদ চাকরী জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন সিলেট অঞ্চলে। ১৯৮৭ সালে থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ছাতক, গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় এবং সিলেট জেলা ও বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে দক্ষতা, সততা ও সুনামের সাথে চাকরি করেছেন।
২০০৮ সনে সেপ্টেম্বরে কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান করেন এবং ৩০ জুন ২০২১ তারিখ হতে অবসরে যান। ২০১৩ ও ১০১৪ সনে পর পর ২বছর তিনি তার কর্ম দক্ষতা ও সততার জন্য কুমিল্লা জেলা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কর্মচারী হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা পদক লাভ করেন। ছাত্র জীবনে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ও কর্মী ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। দীর্ঘ কর্মজীবনে তার নিজের ভুল ভ্রান্তি ও আচার আচরণের কারণে কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি বাকী জীবন সুস্থতার সাথে অতিবাহিত করতে সকলের নিকট দোয়া চান।