মাহফুজ নান্টু ।
বড় হয়ে উঠেছে লক্ষ্মীপেচার ছানাগুলো। আর কিছু দিন পরে উড়তে ও শিকার ধরতে পারবে। এখন দেখে বুঝার উপায় নেই গত একমাস আগে ঘরহারা হয়েছিলো।
কুমিল্লা সদর উপজেলার রঘুপুরে বেসরকারি সংস্থা ‘এইড কুমিল্লা’র ফলস ছাদে বাসা বেঁধেছিল এক লক্ষ্মীপেঁচা দম্পতি। তাদের ঘরে জন্ম নেয় চারটি ছানা। ছানা নিয়ে ওই লক্ষ্মীপেঁচা দম্পতি ভালোই ছিল। গত ১৩ জানুয়ারি বুধবার সকাল থেকে তাদের ঘরে অশান্তি শুরু হয়। দুর্গন্ধ ছড়ানোর জন্য ওই চার লক্ষ্মীপেঁচার ছানাকে বের করে দেয়া হয়। তাদের জায়গা হয় ওই সংস্থার ছাদে।
পরে এ নিয়ে সংবাদ ছাপা হলে নড়েচড়ে বসে বনকর্মকর্তারা। তারা এইড এর কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে। তবে তারা স্থানীয় যুবক মোশারফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে। পেশায় প্রকৌশলী মোশারফ এইড কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। মোশারফ স্বেচ্ছায় নিজের ব্যক্তিগত খরচে লক্ষ্মীপেঁচার ছানাগুলোকে সেবাযত্ন শুরু করে। কিছুদিন পরেই লক্ষ্মী দম্পত্তি ফিরে আসে।
মঙ্গলবার মোশারফ জানান, লক্ষ্মীর ছানাগুলো বড় হয়েছে। আর কিছুদিন পরে উড়তে ও শিকার ধরতে পারবে।
এইড কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া বেগম শেফালী বলেন, আমরা দুর্গন্ধে প্রথমে বের করে দিলেও সবার অনুরোধে আবারো ফলস ছাদে পেঁচার ছানাগুলো রাখার ব্যবস্থা করি। মা পেঁচাটি ছানার কাছে ফিরে আসে। এখন ভালোই লাগছে যে আর ক’দিন পরে পেঁচার ছানাগুলো উড়তে পারবে। পাশাপাশি খারাপ লাগছে এগুলোকে হয়তো আর দেখবো না।