বৃহস্পতিবার ২৮ gvP© ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement


ডা.খুরশিদ ভাই, আমাকে মিথ্যা প্রমাণ করুন


আমাদের কুমিল্লা .কম :
25.07.2020

নাসির উদ্দিন।।

এক চরম বৈরী পরিবেশে সেনাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন আমাদের প্রিয়জন ডাঃ এ বি এম খুরশিদ আলম। একজন পরিচ্ছন্ন পেশাদার মানুষ খুরশিদ ভাই। তাঁর কর্মে তিনি বরাবরই নিবেদিত প্রাণ। একজন দক্ষ ও অন্তঃ প্রাণ চিকিৎসক, প্রশাসক হিসেবে সফল হবেন কিনা আমি অনিশ্চিত। কারণ গত দুই যুগ ধরে অব্যবস্থাপনা ও দুর্ণীতির যে বলয় এই অধিদপ্তরে তৈরী হয়েছে তা এক ডিজির পরিবর্তনে পাল্টে যাবে এমনটা আশা করা বাতুলতা মাত্র। এছাড়া অকর্মণ্য ও অদক্ষ ব্যুরোক্রেসিতে, সফল হওয়ার মসৃণ কোনো পথও খোলা নেই। এছাড়া শুধু সেনাপতির ইচ্ছেয় ও কৌশলেই এখানে যুদ্ধ হয় না। এই যুদ্ধে, জয়ের জন্য স্ক্রিপ্ট লেখা হয়না, প্লটও তৈরী হয়না। এখানে স্ক্রিপ্ট লেখা হয়, দেবতা সন্তুষ্টির ও ভোগের। লেখা হয় তামিল বা মালয় সিনেমার স্টাইলে। ফলে কেবল জ্বি হুজুরই এখানে একমাত্র যোগ্যতা, আর যোগ্যতাই হলো চরম অযোগ্যতা।

আমাদের খুরশিদ ভাই বড়জোর নিজের পকেট ভারী করতে উদ্যোগী হয়ে দুর্নীতির নতুন ধারণা পুশ করবেন না বা বীজ বপন করবেন না, এটুকু বলতে পারি। কিন্তু উপরের দূর্ণীতির শিকার হয়ে চিরে চেপ্টা হবেন না এমনটা বলার সুযোগ নেই। কারণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের নার্ভাস সিস্টেমে যে ডিভাইস ইনপুট করা আছে সেখানে স্বচ্ছতা নামে কোনো এপ্লিকেশনই নেই। ফলে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন স্বচ্ছতা নামে কোনো ব্রাউজিং গ্রহণ করে না। আর মাথা যখন বিকারগ্রস্ত, তখন ফুসফুসের স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস দেহকে সুস্থ রাখতে যথেষ্ট নয়। জরুরী প্রয়োজন মাথার সুস্থতার চিকিৎসা। এই চিকিৎসা যে হচ্ছেনা এটা নিশ্চিত। এর কারণ আমাদের অজানা বা দৃষ্টিসীমার বহুদূরে। তবে এটুকু বলা যায়, যে ধর্মে দেবতার সন্তুষ্টি এবং ভোগই শেষকথা, সেখানে ধর্ম বলে আসলে কিছু নেই বা থাকতে পারে না। ফলে আমি মোটেও আশাবাদী নই। তবে আমি মনেপ্রাণে চাইবো খুরশিদ ভাই আমাকে মিথ্যা প্রমাণ করুন।

দীর্ঘকাল ধরেই দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সবচেয়ে দুর্গন্ধযুক্ত ভাগাড়ের নাম। কিন্তু এটা যে এতোটাই নিকৃষ্টতম আবর্জনার স্তুপের প্রতিমূর্তি, এটা করোনা ঝড়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে। এই করোনা ঝড়ের পর, ঝড়ের প্রতি আমার আগ্রহ বেড়েছে। প্রবলভাবে এমন সর্বব্যাপী ঝড় এখন প্রতিটি শ্বাসপ্রশ্বাসে আমি প্রত্যাশা করছি। তাহলে দেশের অন্ধ, মূক ও বধির জনগোষ্ঠীর অনূভবে পুরো দেশের সবকটি মন্ত্রণালয়ের চিত্র স্পষ্ট হতো। ভাঙ্গতে পারতো কূম্ভকর্ণের মৃত্যুসম ঘুম।
লেখক : সাবেক সহ সভাপতি,কুমিল্লা প্রেস ক্লাব ও সমাজ বিশ্লেষক । মোবাইল :০১৭১১-৩২৭৪৯৮