বুধবার ১৭ GwcÖj ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, প্লিজ ডা.ফেরদৌস খন্দকারের সেবা গ্রহণ করুন


আমাদের কুমিল্লা .কম :
15.06.2020

এডভোকেট নিজামুল হক।।

চীন উহান শহর থেকে ” করোনা ভাইরাস ” ইউরোপ, আমেরিকা,আফ্রিকা হয়ে সমস্ত পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে মরণব্যাধি ভাইরাস। বিশ্বের ২১৩ টি দেশের মানুষ মরণব্যাধি ভাইরাসে আক্রান্ত, যেখানে ভাইরাসটি প্রতিনিয়ত তার চরিত্র বদলিয়ে ভিন্ন ভিন্ন রুপ ধারণ করছে, যার ফলে বিশ্বের সকল দেশের বিজ্ঞানী,গবেষক, চিকিৎসক তাদের গবেষণায় এখন পর্যন্ত পরিপূর্ণ কোন ভ্যাকসিন বা প্রতিশেধক ঔষধ আবিষ্কার করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাব হিসাবে ঘোষণা দিয়ে প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন। আজ সারা বিশ্ব যখন ভীত সন্ত্রস্ত, বিশ্ব মানবতা বিপর্যস্ত এবং বিশ্ব অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে পড়েছে, এমনকি বাংলাদেশের অনেক ডাক্তার যখন করোনা ভাইরাসের রোগীদের চিকিৎসা করবে না বলে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে যায়, যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, মানবতার নেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষোভের সাথে বলে,ন জনগণের ট্যাক্সের টাকায় ডাক্তার হয়ে যদি করোনা রোগীদের সেবা দিতে না চান তাহলে এই বাংলাদেশে আপনারা কিভাবে ডাক্তারী করেন আমাকে নতুন করে ভাবতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আমি বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করাব।
যে সময়ে আমেরিকা তথা নিউইয়র্ক সিটিতে প্রতিদিন প্রবাসী বাংলাদেশি পাঁচ জন সাতজন করে মারা যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়ছে,সেই সময়ে এই বাংলাদেশের -ই সূর্য সন্তান ডাঃ ফেরদৌস খন্দকার প্রতিটি বাসায় গিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে রোগীদেরকে সুস্থ করে যাচ্ছে শুধু প্রবাসী বাঙালীই নয় সকল প্রবাসী তথা আর্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে এমন মানুষদের কে চিকিৎসা সেবা দিয়ে এবং আর্থিক সাহায্য করে যাচ্ছেন। এমনকি সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সারা বিশ্বের বাংলা ভাষা ভাষী মানুষদের কে কিভাবে করোনা রোগ থেকে মুক্তি পাবে বিভিন্ন পরামর্শ, সেবার দিক নিদর্শনা দিয়ে মানুষের মনের মধ্য মণি হয়ে উঠেন। সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ তার ডাক্তারী পরামর্শ এবং সেবা নিয়ে নতুন জীবন ফিরে পাচ্ছে। বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত মিডিয়া গুলো পর্যন্ত বাংলাদেশী এই চিকিৎসকের মানবতার চিকিৎসার ভূমিকা দেখে ভূয়সী প্রশংসা করছে। তখন তো তার একমাত্র পরিচয় ছিল বাংলাদেশী/ বাঙালি চিকিৎসক।
“কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কুমিল্লা মহানগরী আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষায়ক সম্পাদক আমার স্নেহের ছোট ভাই এডভোকেট আনিসুর রহোন মিঠুর একটি লেখা পড়ে জানতে পারলাম ডাঃ ফেরদৌস খন্দকার বাংলাদেশে সাবেক ছাত্র নেতা শাহজাদা মহিউদ্দিনের মাধ্যমে পুলিশের আইজি সাহেবের কাছে মাস্ক ইত্যাদি পাঠিয়েছেন, তখন আনিসুর রহমান মিঠু তাকে ফোন করে বলল কুমিল্লাতে ও কিছু দিতে তখন ডাঃ ফেরদৌস খন্দকার মিঠুর কথা মতো কুমিল্লা শহরে কিছু মাস্ক, কিছু খাদ্য ও অর্থ দেন যা কুমিল্লায় বিতরণ করা হয়েছে”।
যখনই ডাঃ ফেরদৌস খন্দকার মাতৃভূমির প্রতি তার দায়বদ্ধতার দিক বিবেচনা করে দেশের মানুষের টানে মানবতার বিপর্যয় মুহূর্তে মানুষের পাশে থেকে চিকিৎসা সেবা ও সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশের বিমান বন্দরে পা রাখল তখনই তাকে হেস্তনেস্ত এবং হেয় করার জন্য বিভিন্ন ধরণের অপবাদ দিতে থাকে। যেমন- ডাঃ ফেরদৌস খন্দকার বঙ্গবন্ধুর কুখ্যাত খুনি খন্দকার মোস্তাকের ভাগিনা এবং আরেক খুনি কর্নেল রশিদের খালাত ভাই। বাস্তবিক অর্থে এই অপবাদ গুলির কোনটাই ডাঃ ফেরদৌস খন্দকারের বংশ পরিচয়ের সাথে নেই। যার কোন প্রমান দিতে পারে নাই এখন পর্যন্ত কেউ। আমি যেহেতু কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বারের সন্তান সেই দিক থেকে বলতে পারি ওর গ্রামের বাড়ি বাকশ্বার, তার বাবা এয়ারর্ফোসে শিক্ষা সেক্টরে চাকরী করত এবং তার নানার বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে । তার নানা সেনা বাহিনীতে চাকরি করতেন, উনার ছয় ছেলে সন্তান ছিল, তাদের মধ্যে একজন খোরশেদ আলম মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার ছিলেন, আরেক জন ও মুক্তিযোদ্ধা তিনি বনানীতে থাকেন, চতুর্থ যে মামা তিনি নিউইয়র্কে থাকেন তার নাম মোস্তাক আহমেদ যা খুনি মোস্তাক এর নামের সাথে মিলে যায়। যে কারনে সুবিধা ভোগীরা খুনি মোস্তাক খন্দকারের নামের সাথে মিলিয়ে তাকে খুনি মোস্তাক এর ভাগীনা বলে ফাঁসিয়ে দেয় যা আসলেই সত্যি নয়।বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি কর্নেল রশিদের বাড়ি চান্দিনা উপজেলায় ডাঃ ফেরদৌস খন্দকারের খালাতো ভাই বলে অপবাদ দিয়েছে ।যেখানে তার পরিবারের সাথে কোন ধরনের আত্মীয়তার সম্পর্ক নাই তা নিশ্চিত হয়েছি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী সাবেক ডেপুটি স্পীকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, চান্দিনার এমপি ,আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা অধ্যাপক আলী আশরাফ ভাইয়ের সাথে কথা বলে।
এরই মধ্যে আমি কথা বলি আমার অত্যন্ত স্নেহের ছোট ভাই তৎকালীন সময়ে তুখোড় ছাত্র নেতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লীগের সভাপতি এবং বাংলাদেশ ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বর্তমানে সোনার বাংলা কলেজের সুযোগ্য প্রিন্সিপাল সেলিম রেজা সৌরভের সাথে। তার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম ডাঃ ফেরদৌস খন্দকার তৎকালীন সময়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এর অত্যন্ত নিবেদিত ছাত্র লীগের কর্মী ছিলেন এবং শিবিরের সাথে রাজপথে লড়াই করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্র লীগকে ধরে রেখে ছিলেন।
ডাঃ ফেরদৌস খন্দকার একজন অত্যন্ত ভালো ছেলে ভালো ডাক্তার, দেশপ্রেমিক, মুক্তি যোদ্ধা পরিবারের সন্তান, তৎকালীন ছাত্র লীগের একজন নিবেদিত কর্মী ছিল। বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে আজ বড়ই দূর্যোগের ঘণঘাটা,”মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্যে,একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না” বাঙ্গালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মানবতার নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বাংলাদেশের চার বারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা র স্বদয় দৃষ্টিতে আকর্ষণ করছি দেশের ক্লান্তি লগ্নে ডাঃ ফেরদৌস খন্দকারের মতো একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডাক্তার কে আর বসিয়ে না রেখে মানবতার সেবায় তাকে নিয়োজিত করলে দেশ ও দেশের মানুষের অনেক উপকার হবে এবং সরকারীভাবে এয়ারপোর্টে আটককৃত তার আনিত আট সুটকেস মাস্ক,গ্লাভস এবং চিকিৎসা সামগ্রী দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ডাক্তারদের কাছে বিতরণ করলে এই মুহূর্তে দেশের মানুষ উপকৃত হবে।
লেখক : সহ-সভাপতি, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ