ডা. মো. মুজিবুর রহমান।।
দেশে করোনাভাইরাসে নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৫ হাজার ছাড়িয়ে গেল ।প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের ৮৮ তম দিনে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫৫১৪০ জন ।কোভিডের গ্রাফ
ক্রমেই উর্ধমুখী ।এর মধ্যেই অনেককেই যেতে হচ্ছে অফিস বাজার অথবা যে কোন কর্মস্থলে ।এর মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্থা থেকে জানানো হল,করোনাভাইরাসের মারণক্ষমতা কমেনি একটুও ।কাজেই লকডাউন তুলে ফেলার এই পর্যায়ে খুব সতর্ক থাকতে হবে।শুধু মাস্ক পরলেই কি হবে ? না কি পরতে হবে ফেস শিল্ডও ।এই নিয়ে সংশয়ে অনেকেই ।
বাড়তি সতর্কতা হিসেবে অনেকেই মাস্কের উপর স্বচ্ছ প্লাষ্টিকের মুখাবরণ বা ফেসশিল্ড ব্যবহার করছেন ।গণপরিবহনে উঠলে এবার থেকে কি দুটোই পরতে হবে ,নাকি যে কোন একটা পরলেই হবে ?কোনটা বেশি নিরাপত্তা দেবে ?
তিন স্তর বিশিষ্ট ও ফিল্টার দেওয়া কাপড়ের মাস্ক ঠিকভাবে পরলে এবং মানুষের সঙ্গে তিন থেকে ছয়ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে পারলে প্রায় ৯০-৯৫ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়া যায় ।কিন্তু তাতে অনেক সমস্যাও থেকে যায়।এই সমস্যা মূলত আমাদেরই ভুলে ।কেমন সেসব ভুল ?
অনেকে মাস্ক ঠিকভাবে পরেন না ।কেউ কথা বলার সময় চিবুকের কাছে নামিয়ে নেন ,কেউ বা পরেন নাকের নীচে এবং তা প্রায়ই নাক থেকে সরে যায় ।কখনও আবার এত হালকা করে বাঁধেন যে চারপাশে প্রচুর ফাঁক থেকে যায় ।অনেকে আবার বার বার মাস্কের বাইরের অংশে হাত
দিয়ে সেই হাত নাকে মুখে চোখে লাগান ।কেউ কেউ একটাই মাস্ক না ধুয়ে বা ডিজপোজেবল হলে না ফেলে,রোজ পরতে থাকেন ।
অন্যদিকে আশেপাশে এতবেশি উপসর্গহীন করোনা রোগী ঘুরে বেড়াচ্ছেন যে কখন কার থেকে
সংক্রমিত হলেন,তা টের পাওয়া যাচ্ছে না । তবে যে যাই বলুক তিন স্তর বিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক ভাল করে টেনে বেঁধে ,নিয়ম মেনে যদি পরেনও আশেপাশের মানুষের সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব যথাযথ রাখতে পারেন তাহলে শুধুমাত্র মাস্কই পরুন ।নিয়ম মেনে ঠিক পদ্ধতিতে মাস্ক পরলে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারলে
শুধুমাত্র মাস্কেই আস্থা রাখতে পারেন । বাড়তি ফেসশিল্ড পরতে হবে শুধুমাত্র চিকিৎসক স্বাস্হ্যকর্মী জনসমক্ষে আসা পুলিশকর্মী ও হাসপাতাল কর্মীদের ।
লেখক : পরিচালক,কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।