শুক্রবার ১৯ GwcÖj ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement


এবার বিদায় নিলেন ঋষি কাপুর


আমাদের কুমিল্লা .কম :
30.04.2020

বিনোদন ডেস্ক।।
ইরফান খানের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই বলিউডে এলো আরেক দুঃসংবাদ। কিংবদন্তি অভিনেতা ঋষি কাপুর আর নেই। তিনিও ক্যানসারের কাছে হেরে ৬৭ বছর বয়সে চলে গেলেন না ফেরার দেশে, আজ (৩০ এপ্রিল) সকালে।

২০১৮ সাল থেকে ক্যানসারসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন বিখ্যাত কাপুর পরিবারের অন্যতম এই মানুষটি। বুধবার (২৯ এপ্রিল) তার ভাই রনধির কাপুর বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানান, ক্যানসারে ভোগা এই অভিনেতার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে মুম্বাইয়ের এইচএন রিলায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ঋষি কাপুরের মৃত্যুর খবরটি সোশ্যাল হ্যান্ডেলে নিশ্চিত করেন বলিউডের আরেক কিংবদন্তি অমিতাভ বচ্চন। তিনি এক টুইট বার্তায় ঋষি কাপুরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লিখেছেন, ‘তিনি চলে গেলেন। ঋষি কাপুর কেবলই চলে গেলেন। আমি হতবাক।’
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ক্যানসারের চিকিৎসা নিয়ে গত বছর মুম্বাইয়ে ফিরে আসেন ঋষি কাপুর। বাড়ি ফিরে টুইট বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘বাড়ি ফিরলাম! ১১ মাস ১১ দিন পর! আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।’

ঋষি কাপুর মৃত্যুকালে স্ত্রী নিতু কাপুর, ছেলে রণবীর কাপুর ও মেয়ে ঋদ্ধিমা কাপুরকে রেখে গেছেন।

ঋষি কাপুর শুধু অভিনেতাই নন, পাশাপাশি প্রযোজক ও পরিচালকও বটে। ১৯৭০ সালে বাবা রাজ কাপুরের চলচ্চিত্র ‘মেরা নাম জোকার’ দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক হয় ঋষি কাপুরের। তবে সেটি শিশুশিল্পী হিসেবে। অভিষেকেই বাজিমাত করেন, পেয়ে যান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার! এরপর ১৯৭৩ সালের দিকে বাবা রাজ কাপুরের আরেক ছবি ‘ববি’র মাধ্যমে প্রধান চরিত্র বা নায়করূপে অভিষেক হয় তরুণ ঋষি কাপুরের। যার সুবাদে ১৯৭৪ সালে ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৭০ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৫২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মুম্বাইয়ের চেম্বুর শহরে একটি পাঞ্জাবি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ঋষি কাপুর।