বিদেশ ডেস্ক।।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্বীকার করেছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নিয়োজিত চিকিৎসাকর্মীদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের (পিপিই) ঘাটতি রয়েছে। তিনি বলেছেন, উৎপাদন ও আমদানি বৃদ্ধির পরও এই ঘাটতি দেখা গিয়েছে। একই সঙ্গে করোনার বিস্তার ঠেকাতে দেশটিতে ১১ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বে ৮ম অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে, মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ হাজার ৫৫৮। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮৬৭ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৪৫৪ জন। মস্কোতেই আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। ফলে দেশটির স্বাস্থ্য সেবায় বড় ধরনের বিপর্যয় এসেছে। একটি সামরিক থিম পার্ক ও প্রদর্শনী কেন্দ্রকে অস্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতে।
পুতিন বলেছেন, এই সংকটে সামনের সারিতে থাকা চিকিৎসাকর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জামের ঘাটতি রয়েছে। আগের তুলনায় আমরা উৎপাদন বাড়িয়েছি। কিন্তু চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল। উৎপাদন ও আমদানি বাড়ানোর পরও সবকিছুর ঘাটতি রয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়াতে এখন প্রতিদিন ১ লাখ পিপিই উৎপাদিত হচ্ছে। অথচ মার্চে দিনে তৈরি হতো ৩ হাজার। মাস্কের উৎপাদনও বেড়েছে ১০ গুণ। এপ্রিলে প্রতিদিন সাড়ে আট মিলিয়ন মাস্ক তৈরি হচ্ছে।
পুতিন আরও বলেন, সরকার মহামারির গতি শ্লথ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে রুশ নাগরিকদের স্বেচ্ছা বিচ্ছিন্ন থাকতে হবে বেশ কিছু দিন। লকডাউনের মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাণঘাতী ভাইরাসের ভয়াবহতা এখনও বিদ্যমান।