নিউজ ডেস্ক।। তীব্র ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাজধানীর ফুটপাতসহ নিম্নবিত্ত মানুষদের ভোগান্তি বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাস সুচের মতো বিঁধছে শরীরে। বুধ ও বৃহস্পতিবার গড়ে আরও ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে।
গতকাল সকাল থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল রাজধানী। দুপুরে সূর্য উঠলেও তাপ ছড়াতে পারেনি। ফলে বাড়েনি তাপমাত্রা। উল্টো দুপুরের পর আরও কমে গেছে তাপমাত্রা। বিকাল থেকে শুরু হয় কনকনে বাতাস। ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বইছে বাতাস। আরও এক থেকে দুইদিন স্থায়ী হতে পারে এই তাপমাত্রা। এরপর আবার বৃষ্টিরও শঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আগের মতোই থাকবে আর বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রা কমে পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
সকালে ঘন কুয়াশার মধ্যেই স্কুলে নতুন ক্লাসে যেতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। ঠান্ডা বাতাসের কারণে সকালে যানবাহনের সংখ্যা কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন অনেকে। একই অবস্থা হয় অফিসগামী সাধারণ মানুষের।
দুপুরে রিকশাচালক মনির মিয়া বলেন,‘ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। রিকশা চালাতে অনেক কষ্ট হয়। আমাদের অনেকেই আজ এক বেলা রিকশা চালাচ্ছে। অনেকেই রাতে রিকশা চালিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।’
অন্যদিকে ফুটপাতে গরম কাপড় বিক্রি বেড়ে গেছে। ফুটপাতে কাপড়ের দোকান ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন জানান,গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে বিক্রি বেশি। সবাই মোটা কাপড় কিনছেন।
আবহাওয়া অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা জানান,ঢাকায় শৈত্যপ্রবাহ না হলেও ঠান্ডার অনুভূতি অনেক। কারণ ঢাকায় সূর্য উঠলেও তাপ ছড়াতে পারেনি। ফলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা খুব একটা বাড়েনি। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৬। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৬। এই দুই তাপমাত্রার মধ্যে ব্যবধান কম হওয়ার কারণে ঠান্ডার অনুভূতি বেশি হচ্ছে। তিনি বলেন,এই তাপমাত্রার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমের বাতাসের কারণে রাজধানীবাসীর ঠান্ডা বেশি লাগছে।
এদিকে চলতি মাসের মাঝামাঝি আরও একটি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর। দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়,চলতি মাসে দেশে ২ থেকে ৩টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে দুইটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।